অনলাইন ডেস্ক :
এবার খোদ জেরুজালেমে রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে কোনো হতাহত না হলেও নতুন সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন তারা। ইসরাইলের মূল ভূখন্ডে নির্ভুল হামলা ফিলিস্তিনিদের শক্ত আত্মবিশ্বাসেরই আভাস দিয়েছে। তৃতীয় দিনের মতো গাজা উপত্যকায় দখলদার বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। পবিত্র আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ইহুদি দর্শনার্থীদের প্রবেশের সুযোগ দিয়েছে ইসরাইল সরকার। এতে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, শনিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজায় দুই সঙ্গীসহ প্রতিরোধ আন্দোলন ইসলামিক জিহাদের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার খালিদ মানসুর নিহত হয়েছেন। এছাড়াও দুই বেসামরিক ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। ইসলামিক জিহাদ বলছে, শত্রুদের বসতিতে বোমা হামলা চালানোর আগে নিহতদের রক্ত শুকাতে দেব না। চলতি সপ্তাহে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বিমান হামলায় গাজায় ইসলামিক জিহাদের দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডারসহ ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিতদের এক তৃতীয়াংশই বেসামরিক। নারী ও শিশুরাও রয়েছে।আর ফিলিস্তিনি রকেটে হাজার হাজার ইসরাইলি নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। জেরুজালেমের পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ কিলোমিটার দূরে মেভাসেরেট জিওন, কিরিয়াত আনাভিম, আভু ঘোস ও কিরিয়াত আনাভিমে সাইরেন বাজিয়ে নাগরিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। ইসলামিক জিহাদের দফায় দফায় রকেট হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে অবৈধ দখলদার ইহুদিরা। জেরুজালেমের নিক্ষেপ করা রকেট আকাশেই ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আকস্মিক সহিংসতার ঘটনায় বিশ্ব শক্তিগুলোও হতাশ হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টায় নেমেছে মিসর। তবে এখন পর্যন্ত গাজা শাসন করা প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু