জবি প্রতিনিধি:
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও স্বপ্ন জয়ের স্বপ্ন দেখেন তারা। শারিরীক প্রতিবন্ধকতা যাদের কাছে বাঁধাই হতে পারেনি। শনিবার (১৩ আগস্ট) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তিনজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী। এরা হলেন- তারিফ মেহমুদ চৌধুরী, তৃণা আক্তার সেতু ও আকাশ দাস।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তিন শিক্ষার্থীর জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের পরীক্ষার জন্য তিন জন শ্রুতিলেখকের ব্যবস্থাও করে কর্তৃপক্ষ।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তারিফ মেহমুদ চৌধুরী ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছেন রাজবাড়ী থেকে মায়ের সঙ্গে। তারিফ নটরডেম কলেজ থেকে ৪.৯২ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন। জন্ম থেকেই তারিফ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। একজন শ্রুতিলেখকের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তিনি।
তারিফ মেহমুদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাউন্টিং এসেছিল কিন্তু আমার প্রিয় বিষয় ইংরেজি তাই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। পরীক্ষায় সাহায্য করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেই একজন শ্রুতিলেখক দেওয়া হয়েছে।
আরেক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তৃণা আক্তার সেতু এসেছেন গোপালগঞ্জ থেকে। সঙ্গে ছিলেন বড় ভাই। ম্যাগনিফাইং গ্লাস ছাড়া তিনি লেখা পড়তেই পারেন না। তৃণা মোকসেদপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। দ্বিতীয় বারের মত তৃণা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
তৃণা বিডি২৪লাইভকে জানান, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ম্যাগনিফাইং গ্লাস সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সহযোগী হিসেবে একজনকে দেওয়া হয়েছে।
অপর আরেক শিক্ষার্থী আকাশ দাস। এসেছেন নরসিংদী থেকে। তিনি মিরপুর বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন মানবিক বিভাগ থেকে।
আকাশ দাস বলেন, আমি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও এটাকে প্রতিবন্ধকতা মনে করিনা বলেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের উপ-পরিচালক মিতা শবনম বলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে আমাদের জানানো হয়েছে তিন জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মেডিকেলে পরীক্ষা দিবেন। আমরা সে অনুযায়ী তাদের জন্য ব্যবস্হা করেছি।
আরও পড়ুন
এইচএসসির ফল প্রকাশ শিগগিরই: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে: বেরোবি উপাচার্য
তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা