November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, August 14th, 2022, 1:14 pm

শাহজাদপুরে কেঁচোর সার উৎপাদনের হিড়িক

এম. রওশন আলম,  শাহজাদপুর( সিরাজগঞ্জ) :
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কেঁচো সার উৎপাদনে লাভ জনক হওয়ায় প্রান্তিক কৃষক এখন কেচো সার উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছে । খরচ কম ও লাভ জনক হওয়ায় কেঁচো সার উৎপাদনে ব্যাপক আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। কেঁচো সার তৈরিতে প্রথমে শুধু রিং, কেঁচো এবং গোবর প্রয়োজন হয়। এরপর নির্দিষ্ট সময় পর পর সার উঠাতে হয়। ফসল উৎপাদনে, মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং নিরাপদ ফসল নিশ্চিত করণে ভার্মি কম্পোষ্ট বা কেঁচো সার অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এটি জৈব সারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর।

‘উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে যানা যায়, কৃষকদের মাঝে কেঁচো সার উৎপাদন এবং ব্যবহার বাড়াতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নানা রকম কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তেমনি একটি প্রকল্প হলো ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প’ এর আওতায় উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের খামার শানিলা গ্রামের কৃষক কনক মিয়ার বাড়িতে একটি প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

কৃষক কনক মিয়া জানান, ‘উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উৎসাহে একরকম হেলাফেলা ভাবেই ১০টি রিং স্থাপন করে ভার্মি কম্পোষ্টের একটি প্রদর্শনী বাস্তবায়নে বাড়িতে কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করি। প্রতিটি রিং থেকে ৩২ -৩৭ দিন পর পর গড়ে ৪৫-৫০ কেজি করে কেঁচো সার উৎপাদিত হচ্ছে। এই সার নিজের জমিতে ব্যবহার করছি। আমার দেখাদেখি এলাকার অন্য কৃষকেরাও আমার কাছ থেকে প্রতি কেজি ২০ (বিশ) টাকা দরে কেঁচো সার কিনে তাদের জমিতে ব্যবহার করছে। সেখান থেকে যে পরিমাণ সার পাই তাতে ব্যাপক লাভবান হই।

এ বিষয়ে উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ওয়াজেদ আলী জানান, আমরা কৃষকদেরকে সচেতন করছি রাসায়নিক সার কম ব্যবহার করে তারা যেন এই জৈব সার ব্যবহার করে এবং কৃষকদের মাঝে ভালো সাড়া পাচ্ছি।

শাহজাদপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. এহসানুল হক বলেন, কেঁচো সার ব্যবহার করতে কৃষকদেরকে আমরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি। এই কেঁচো সারের ব্যবহার যদি বাড়ানো যায় তাহলে আমাদের যে পরিমাণ রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হয় তার পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার যেমন অপচয় রোধ করা সম্ভব তেমনি মাটির স্বাস্থ্য, পরিবেশের সুরক্ষা এবং নিরাপদ ফসল নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।