নিরাপদ ছাত্রাবাসের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে একাডেমিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছে বরিশাল-শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের (শেবাচিম) কয়েকশ শিক্ষার্থী।
সকাল ৮টার দিকে আন্দোলনকারীরা একাডেমিক ভবন ও অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তিনটি করে পৃথক ছয়টি হল রয়েছে। যার প্রতিটি হলের অবস্থাই জরাজীর্ণ। এ ছাড়া জরাজীর্ণ ভবনের ছাদের পলেস্তরা প্রায়ই শিক্ষার্থীদের ওপর ভেঙে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কলেজের ছাত্রী লিসা আক্তার বলেন, ছাত্রী হলের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিনিয়ত আমাদের আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।
কলেজের ছাত্র এহসান উল্লাহ জানান, হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসের অবস্থা খুবই নাজুক। তাই নিরাপদ হলরুমেরও দাবি জানান তারা।
তাহসিন আহমেদ বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর আগে হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেও ছাত্রদের পুনর্বাসনের জন্য এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে নতুন হল নির্মাণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না ঘটলে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।
শিক্ষার্থী তাহসিন আহম্মেদ জানান, হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাস পরিত্যক্ত ঘোষনা করেছে কতৃপক্ষ। দ্রুত এই ছাত্রদের পুন:আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া আমাদের অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে কিন্তু হল নির্মান করা হয়নি। আবাসন সংকট নিরসনে নতুন হল নির্মানে দৃশ্যমান অগ্রগতি না ঘটলে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
৪র্থ বর্ষের ছাত্র সাগর হোসেন বলেন, সাত দিনের মধ্যে হল নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ দেখতে চাই। এছাড়া ঝুকিপূর্ণ হলের ছাত্র ও ছাত্রীদের নিরাপদ স্থানে রাখার দাবি করছি। তা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন, শিগগিরই দুটি হোস্টেল নির্মাণের কাজ শুরু হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব আমরা কাজ শুরু করব।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম