অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্কের কোনিয়া শহরে অনুষ্ঠানরত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের কোনো খেলায় বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা পদকের দেখা পাচ্ছিলেন না। আরচারিতেও ছিল একই ছবি। শেষ পর্যন্ত এসেছে আরচারি থেকে তিনটি। একটি রুপার পদক ও দুটি ব্রোঞ্জ পদক। রুপার পদকের দেখা পেয়েছেন তিন নারী আরচ্যার রোকসানা আক্তার, শ্যামলী রায় এবং পুস্পিতা জামান, আর দুটি ব্রোঞ্জের মধ্যে একটি পুরুষ এবং অন্যটি পেয়েছেন নারী আরচার। এতেই খুশি কর্মকর্তারা। নারীদের আরচারিতে বাংলাদেশের তিন কন্যা রুপা পেয়েছেন। তারা সরাসরি ফাইনাল খেলেছেন। কারণ তৃতীয় কোনো দেশ ছিল না। কোনিয়ায় যোগাযোগ করা হলে সেখানে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল জানিয়েছেন একটি দেশ আসেনি। তাদের খেলোয়াড় ছিল কিন্তু তারা খেলতে আসেনি।’ কেন আসেনি জানতে চাইলে চপল বলেন, ‘আমি এসব নিয়ে কথা বলতে পারব না। এখানে একটা দায়িত্ব পালন করছি। অন্য দেশের কর্মকর্তারা রয়েছে। ঢাকায় ফিরে সবকিছু বলব।’ কম্পাউন্ড মহিলা দলগত ইভেন্টে প্রতিপক্ষ বেশি না থাকায় সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের। না খেলেই ফাইনালে ওঠার সুযোগ পাওয়ায় একটি পদক নিশ্চিত হয়ে যায়। ফাইনালে তুরস্কের বিপক্ষে ২২৯-২২২ পয়েন্টে হেরে যায় বাংলাদেশ। রুপার পদক পায় বাংলাদেশ। ম্যাচ না জিতেও পদক পাওয়ার আনন্দে আরচারি কর্মকর্তারা। তবুও ইতিহাসে লেখা থাকবে বাংলাদেশের ঘরে পদক। রিকার্ভ পুরুষ দলগত ইভেন্টে তৃতীয় স্হান নির্ধারনি ম্যচে বাংলাদেশ ৬-০ সেট পয়েন্টে সৌদি আরবকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছে। এই ইভেন্টের নারী বিভাগের তৃতীয় স্হান লড়াইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ ৬-২ স্টে পয়েন্টে উজবেকিস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পেয়েছে। হাকিম আহমেদ রুবেল ও দিয়া সিদ্দিকী উজবেকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছেন। আশিকুজ্জামান ও রোকসানা আক্তার হেরেছেন মালয়েশিয়ার বিপক্ষে। কম্পাউন্ড নারী এককেস ব্রোঞ্জের জন্য লড়বেন রোকসানা আক্তার। প্রতিপক্ষ তুরস্কের সুজার আয়েসে বেরা।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা