দেশের পতনমুখী দশটি ব্যাংককে রক্ষায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তার সঙ্গে চুক্তি সাক্ষরে আলোচনা শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শনে বিভিন্ন অনিয়ম, ঋণ খেলাপি, তারল্য সংকট, অব্যাবস্থাপনা ও অর্থ সরিয়ে নেয়ার তথ্য উঠে আসে ওই ব্যাংকগুলোতে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শকরা তাদের প্রতিবেদনে ব্যাংকগুলোর পতনের বিষয়ে সতর্ক করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আব্দুল রউফ তালুকদার অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে দুর্বল দশটি ব্যাংকের সঙ্গে তিন থেকে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি সম্পন্ন করতে ডেপুটি গভর্নরকে নিযুক্ত করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি অনুযায়ী দুর্বল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে বিবি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে পৃথকভাবে ‘সমঝোতা চুক্তি’(এমওইউ) সাক্ষর করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক একটি কার্যকর পরিকল্পনা মাফিক সরাসরি এই ব্যাংকগুলোকে তদারকি করবেন এবং সংকট থেকে উত্তরণে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সময় দিবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চারটি নির্দেশকের আলোকে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে শনাক্ত করেছে- এরমধ্যে বিনিয়োগ পরিচালনা করতে না পারা, মূলধনের ঘাটতি, সঞ্চয় ও বিনিয়োগের হার এবং নিয়ম মেনে চলা। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রত্যেক ব্যাংকের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এর আগে সোনালি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালি ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, বিশেষায়িত দুটি ব্যাংক- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক- এর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবুও প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। এমনি পরিস্থিতিতে আরও দশটি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি