অনলাইন ডেস্ক :
বাবার মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস। সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় ডুবে থাকতেন। ক্রিকেট থেকে বিরতিও নিয়েছিলেন। ওই সময় নিয়মিত ওষুধ খেতে হতো তাকে। বিরতি কাটিয়ে তিনি ক্রিকেটে ফিরেছেন। হয়েছেন অধিনায়ক। কিন্তু এখনো বাবার মৃত্যুর ধাক্কা পুরোপুরি সামলে উঠতে পারেননি স্টোকস। মস্তিষ্কের ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘদিন লড়াই করার পর দুই বছর আগে মৃত্যু হয় স্টোকসের বাবার। তার পর থেকেই দুশ্চিন্তা, মানসিক অস্থিরতার সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন স্টোকস। মন দিতে পারছিলেন না ক্রিকেটে। তাই গত বছর কিছুদিন নিজেকে ক্রিকেট থেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। স্টোকস বলেছেন, ‘কখনো ভাবিনি এমন সমস্যার জন্য আমাকে ওষুধ খেতে হবে। এটা বলতে আমার কোনো অস্বস্তি বা লজ্জা নেই। কারণ তখন আমার সত্যিই সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। ’ক্রিকেটের ব্যস্ততার জন্য অসুস্থ বাবার পাশে তেমন থাকতে পারেননি স্টোকস। কারণ তার বাবা-মা থাকেন নিউজিল্যান্ডে। বাবার মৃত্যু তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। স্টোকস আরো বলেছেন, ‘কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলাম না। সব সময় বাবার মৃত্যুর কথা মনে পড়ত। কিছুদিন পর খেলায় ফিরেছি। আগের মতো নিয়মিত না হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয় এখনো। মানসিক স্থিরতা বজায় রাখতে প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয়। এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। ’স্টোকস জানিয়েছেন, অসুস্থতার সময় বাবার কাছে যতটা থাকা দরকার ছিল, ততটা থাকতে পারেননি। এ কারণে ক্রিকেটের প্রতি তীব্র বিরক্তি তৈরি হয়েছিল। ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বলেছেন, ‘ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। খেলাটার ওপর খুব রাগ হতো তখন। কারণ ক্রিকেটই মৃত্যুপথযাত্রী বাবার কাছ থেকে আমাকে দূরে থাকতে বাধ্য করেছিল। শেষ কয়েকটা দিন বাবার কাছে থাকার জন্যই ক্রিকেট থেকে বিরতি নিয়েছিলাম। ’বাবার অসুস্থতার সময় কেমন ছিল মানসিক অবস্থা? স্টোকস বলেছেন, ‘জীবনে কখনো কখনো মানুষ ভীষণ অসহায়। আমারও তখন নিজেকে খুব অসহায় মনে হতো। সব কিছু বলে বোঝানো সম্ভব নয়। মানসিক পরিস্থিতি ঠিক না থাকলে এমন হয়। এটা একটা দুর্বলতা। অনেকেই মনে করেন, মানুষকে তার সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করে বিব্রত করা ঠিক নয়। আমার কোনো সমস্যা নেই। খুশি মনেই যতটা বলা সম্ভব বলছি। ’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা