অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলে দুটি মৌসুমে খেলেছেন দাসুন শানাকা। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতাও আছে তার। কার কী সামর্থ্য, কে কী করতে পারেন, সে সম্পর্কে ভালো ধারণাই আছে শ্রীলঙ্কা অধিনায়কের। সেই জানাশোনা থেকেই তার কৌতূহল জাগানিয়া এক মন্তব্য, “আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা সহজ!” দুবাই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার এশিয়া কাপের উদ্বোধনী দিনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া দলটি বোলিংয়েও করতে পারেনি কোনো লড়াই। মোহাম্মদ নবির দল ম্যাচ জিতে যায় ৫৯ বল বাকি থাকতে। হারের জন্য মূলত ব্যাটিংকেই দায়ী করছেন শানাকা। কৃতিত্ব দিচ্ছেন আফগান বোলারদের। একই সঙ্গে তার উপলব্ধি, তাদের ইনিংসের পরই কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছিল ম্যাচ। বড় হারে রান রেটে বেশ পিছিয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরে যেতে আপাতত তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে ‘বি’ গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচের দিকে। আগামী মঙ্গলবার শারজাহর ম্যাচে আফগানদের কাছে বাংলাদেশ হেরে গেলে রান রেট নিয়ে আর ভাবতে হবে না শানাকাদের। তখন স্রেফ পরের ম্যাচ জিতলেই কাজ হয়ে যাবে। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতে গেলে লঙ্কানদের কাজটা হতে পারে কঠিন। -৫.১৭৬ রান রেটের উন্নতি করে থাকতে হবে সেরা দুইয়ে। আগামী বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে তারা বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে। এর আগেই পাওয়া যাবে অনেকটা পরিষ্কার চিত্র। সময় আছে কয়েক দিন। তবে এখন থেকেই সেই ম্যাচ নিয়ে ভাবতে শুরু করা অস্বাভাবিক নয়। তার সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিবেচনায় নিলে আশাবাদী হওয়ার উপকরণও কম নয়। সবশেষ ১৫ ম্যাচে যে দলের জয় মাত্র দুইটি, তাদের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী থাকাই স্বাভাবিক। একপেশে ম্যাচে হতাশার হারের পর সামনের ম্যাচ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন শানাকা। সে সময় কূটনৈতিক উত্তরের ধারেকাছে না গিয়ে নিজের মতামতই জানালেন এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। “আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ বিশ্বমানের। অন্য দিকে বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে, আমরা জানি যে, (মুস্তাফিজুর রহমান) ফিজ খুব ভালো একজন বোলার। সাকিব (আল হাসান) বিশ্বমানের। এর বাইরে তাদের দলে বিশ্বমানের কোনো বোলার নেই। আফগানিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশ ম্যাচ অনেক বেশি সহজ হবে।” নিজের ভাবনার পেছনের কারণগুলোও ব্যাখ্যা করলেন লঙ্কান অধিনায়ক। “আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে অনেক ম্যাচ খেলি। আমরা জানি, ওরা ঠিক কী পরিকল্পনা করছে। পরের ম্যাচে এটার বড় ভূমিকা থাকবে। ওদের পরিকল্পনা জানা থাকায়, কাজটা অনেক সহজ হবে।”“আমরা ওদের খেলোয়াড়দের চিনি। এখনকার দিনে সবাই প্রতিপক্ষের সবাইকে চিনে। (ওদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা থাকাটা) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সময় সহায়তা করে।”
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা