জেলা প্রতিনিধি, সিলেট:
সুরমা নদীর পানি কমার সাথে সাথে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে যার ফলে ইতিমধ্যে ৪টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে,চলে গেছে তাদের ঘরবাড়ি, যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। স্থানীয় মোঃ আব্দুর রুফ, মোহম্মদ আজির উদ্দিন বাবুল মিয়া ও আব্দুল আলিম বলেন, সিলেট সদর উপজেলার ৭ নং মোগলগাও ইউনিয়নের যোগির গাঁও-গ্রামের এই নদী ভাঙ্গন দীর্ঘ ত্রিশ বছর থেকে অব্যাহত রয়েছে, যোগির গাঁও-গ্রামের এই নদী ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছিলেন সাবেক মরহুম সাইফুর রহমান। পরিদর্শন করেন স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, পরিদর্শন করে নদী ভাঙ্গন রোদে আশ্বাস দিয়ে গেলেও তার কোনো বাস্তবে ফলাফল আসেনি, সর্বশেষ ২০২০ সালে মোগলগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হিরন মিয়ার বন্ধুদের জন্য যোগির গাঁও গ্রামে বেশ কয়েকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোক নিয়ে মাপ যোগ করে আশ্বাস দিলেও তার পরও এখন পর্যন্ত কোনি কাজ হয়নি।
নদীর পাড়ে হুমকির মুখে থাকা রহিম উল্লাহ বলেন দীর্ঘ ৩০ বছর থেকে সুরমা নদীর এই ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে শুধু আশ্বাস শুনে আসছি কেউ আমাদের আশা পূরণ করছেন না বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন না।
গ্রামের আজির উদ্দিন বলেন এই কয়েকদিনে এখানে আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে,এই পর্যন্ত নদী ভাঙ্গনে প্রায় যোগির গাও গ্রামের প্রায় ১০০ টি পরিবার রাক্ষসী সুরমা নদীর ভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়ে রাস্তায় রাস্তায় থাকছেন। আমাদেরকে রক্ষা করুন রক্ষা করুন রক্ষা করুন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
এদিকে নদীভাঙ্গন দেখার জন্য বর্তমান মোগলগাও ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেছার আহমদ পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন আমি এসে যা দেখলাম সুরমা নদীর ভাঙ্গন মোগলগাঁও ইউনিয়ন মধ্যে এটাই ভয়াবহ ভাঙ্গন,এখনই এটা রুদ্রা করলে অনেক নিঃস্ব হয়ে যাবে চোখের সামনে। তা ছাড়া সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক একদম পাশে রয়েছে মসজিদ রয়েছে স্কুল পেট্রলপাম্প সহ অনেক কিছু।
কতৃণ এটা রোধ করার প্রয়োজন নয়তো সরকারআরো ক্ষতিগ্রস্থ হবেন অন্যদিকে এই পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে যাবে। তাই উপজেলার চেয়ারম্যান ও মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
তিনি বলেন ইতিমধ্যে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিএস জুয়েল আহমেদ এর সাথে কথা বলেছি আশ্বাস দিয়েছেন তাৎক্ষণিক একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন
চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট চলছে, চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ
বান্দরবানে সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত: আইএসপিআর
ভোলায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ১৪টি দোকান