জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের ব্যবসায়ী শামীম হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান এর হাতে ফরিদপুর গ্রামবাসীর পক্ষে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৬নং লালাবাজার ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান তোয়াজিদুল হক তুহিন, লালাবাজার ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুহিদ হোসেন, সাবেক মেম্বার বিশিষ্ট মুরব্বী শহীদুর রহমান শহিদ, জিলা মিয়া, বিশিষ্ট সমাজসেবী আমিনুর রহমান চৌধুরী সিফতা, আহবাব হোসেন, ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান রৌশন আহমদ, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম মনির আলী, সমাজকর্মী আফজল হোসেন, আলী হোসেন, জাকির হোসেন, মামুন আহমদ প্রমুখ।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের নাজিরবাজার রাজমহল কনফেকশনারী লিমিটেড ও ফরিদপুর রাইছ মিলের স্বত্বাধীকারী জুবায়ের আহমদ শামীমের কাছে একই থানাধিন রাজাপুর গ্রামের মৃত জাবিদ আলীর ছেলে ছইদ আলী (৪২) ও সাইদ আলী (৪০), ইরন আলীর ছেলে মজির আহমদ (২৫) সহ ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা প্রায় সময়ই চাঁদা দাবী করে আসছে। চাঁদা না দেয়ায় তাকে হুমকী-ধামকী দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ জুলাই আসামীগন ১ লক্ষ টাকা চাঁদ দাবী করে। শামীম চাঁদা দিতে অস্বীকার করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৩ জুলাই বেলা ১টা দিকে জুবায়ের আহমদ শামীম নাজিরবাজারস্থ রাজমহল কনফেকশনারী লিমিটেড থেকে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরার পথে রাজাপুর গ্রামে আসামী ছইদ আলীর কোলনীর সামনে পৌঁছামাত্র পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সমূহ আসামীগণ সংঘব্ধভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে জুবায়ের আহমদ শামীমের দু’টি পা ভেঙ্গে রক্তাক্ত জখম করে।
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় এক মাস চিকিৎস শেষে বর্তমানে নিজ বাড়িতে জুবায়ের আহমদ শামীম পঙ্গু হয়ে বিছানায় শায়িত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে আহতের ছোট ভাই তানভীর আহমদ সেবুল (৩৩) বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- জিআর ১২১, তারিখ- ১৩-০৭-২২ইং।
প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদের গত ১৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোয়াজিদুল হক তুহিন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় লালাবাজার ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মুহিদ হোসেন, সাবেক ৫ জন চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে রাজাপুর গ্রামের ছইদ আলী, সাইদ আলী, মজির মিয়া গংকে সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজ হিসেবে চিহ্ন করা হয়। ইউনিয়নের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি পেশ শেষে পুলিশ কমিশনার ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনুরূপ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি