November 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, August 31st, 2022, 9:15 pm

রামগড়ে ইউপি মেম্বারের অবৈধ বালু মহালে অভিযান, পাম্প মেশিনসহ লক্ষ টাকার বালু জব্দ

জেলা প্রতিনিধি, রামগড় (খাগড়াছড়ি) :
খাগড়াছড়ির রামগড়ে গভীর বন ঘেরা পিলাক খালে এক ইউপি মেম্বারের বিশাল আকারের একটি অবৈধ বালু মহালের সন্ধান পাওয়া গেছে। ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ঐ অবৈধ বালু মহালে মজুত বিপুল পরিমান বালু ও খাল থেকে বালু উত্তোলনের পাম্প মেশিনসহ অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করেছেন। বুধবার (৩১ আগষ্ট) রামগড় উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট খন্দোকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। জব্দকৃত বালু ও মালামাল নিলাম দেয়ার প্রক্রিয়া হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা সদর হতে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে পাতাছড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে গভীর বন জঙ্গল ঘেরা পিলাক খালের হাছানরাজা ঘাট এলাকায় শক্তিশালী পাম্প মেশিনের মাধ্যমে খাল থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে গত এক- দেড় বছর ধরে। উত্তোলিত বালু পরিবহণের জন্য উঁচু পাহাড় কেটে মহাল পর্যন্ত দীর্ঘ কাচা রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এখান থেকে ড্রামট্রাকের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট বালু পাচার করা হত দীর্ঘদিন ধরে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, অবৈধ বালু মহালটির মালিক খোদ ঐ ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আব্দুল লতিফ।
বুধবার গোপনসূত্রে খবর পেয়ে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ইউপি মেম্বারের ঐ অবৈধ বালু মহালে অভিযানে যান ভ্রাম্যমান আদালত। উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট খন্দোকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাতের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান অবৈধ বালু মহালে অভিযান চালিয়ে এখানে মজুত বিপুল পরিমান বালু জব্দ করেন। এছাড়া খাল থেকে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত একটি শক্তিশালী পাম্প মেশিন ও অন্যান্য মালামাল জব্দ করা হয়। উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট খন্দোকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত বলেন, অভিযানের খবর পেয়ে অবৈধ বালু মহালে নিয়োজিত সকল লোকজন পালিয়ে যায়। বালু মহালটির মালিক ইউপি মেম্বার আব্দুল লতিফকে খবর দেয়া হলেও তিনিও হাজির হননি। বরং মোবাইল ফোন নস্বর বন্ধ করে রাখেন।
তিনি আরও জানান, জব্দকৃত বালু ও অন্যান্য সামগ্রী নিলামে বিক্রি করে সরকারি রাজস্ব তহবিলে জমা করা হবে। নিলাম দেয়ার প্রক্রিয়া নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এ অবৈধ বালু মহালসহ ৩-৪ টি বালু মহাল ইজারাভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে।
এদিকে, অবৈধ বালু মহাল পরিচালনার ব্যাপারে বক্তবের জন্য ইউপি মেম্বার আব্দুল লতিফের মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।