অনলাইন ডেস্ক :
টোকিওতে চলছে অলিম্পিক গেমস। সম্প্রতি অলিম্পিকের কিছু ইভেন্টে মহিলাদের পোশাক নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। প্রাচীন গ্রিসের একটি গল্প আছে যে, ৭২০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এক অলিম্পিকের একটি প্রতিযোগিতায় দৌড়ানোর সময় একজন অ্যাথলেটের কোমরের নেংটি খুলে গিয়েছিল। কিন্তু অর্সিপাস নামে ওই অ্যাথলেট তার লজ্জা ঢাকতে ১৮৫ মিটারের দৌড় বন্ধ করেননি, বরং নগ্ন অবস্থাতেই দৌড়িয়ে সেই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন। এরপর থেকেই সেই গল্প বিখ্যাত হয়ে যায়। প্রাচীন গ্রিসে একসময় নগ্ন অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা দারুণ জনপ্রিয় ছিল। অ্যাথলেটরা সেসব প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতেন গায়ে প্রচুর জলপাইয়ের তেল মেখে – যাতে তাদের দেহের পেশী আরো ফুটে ওঠে। নগ্ন অ্যাথলেটকসকে তখন দেখা হতো দেবতা জিউসের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা নিবেদন হিসেবে। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক সারাহ ব- বলেন, ‘অর্সিপাসের ঘটনাটা প্রথম দেখা হতো তার বীরত্ব এবং বিজয়ের দৃষ্টান্ত হিসেবে – কিন্তু তার পরে তিনি যে নগ্ন ছিলেন – এটারও বন্দনা শুরু হয়ে গেল।গ্রিকদের কাছে তাদের গ্রিক আত্মপরিচয় এবং সৌজন্যের স্বীকৃতির একটা নিদর্শনে পরিণত হলো এই নগ্নতা।’ তবে ১৮৯৬ সালে যখন আধুনিক অলিম্পিকসকে পুনরুজ্জীবিত করা হলো, তখন অবশ্য মানুষের সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গী অনেক পাল্টে গেছে। সেই অলিম্পিকের আয়োজকরা কল্পনাও করেননি নগ্ন অবস্থায় প্রতিযোগিতার সেই গ্রিক ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার কথা। তাছাড়া আধুনিক অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড়দের পোশাক একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকাও পালন করে। এখন দৌড়বিদরা যে জুতো পরেন তা এমনভাবে তৈরি যে তা তাদের পা হড়কে যাওয়া প্রতিরোধ করতে পারে, এবং রানারদের গতিসঞ্চারে সহায়তা করে। সাঁতারুরা যে পোশাক পরেন – তা তাদের পানি কেটে এগিয়ে যাওয়া আরো সহজ করে দেয়। তাছাড়া আঁটোসাঁটো পোশাক বাতাসের বাধা কাটাতে সহায়ক হয় – যাকে বলে ‘ড্র্যাগ’। এবার টোকিওতে যে অলিম্পিকস হচ্ছে তা নানা দিক থেকে অনন্য, যার এর একটা কারণ অবশ্যই কোভিড-১৯ মহামারিজনিত বিধিনিষেধ। কিন্তু ধরুন, যদি অলিম্পিক আয়োজকরা ভাবতেন যে তারা প্রাচীন গ্রিক অলিম্পিক ঐতিহ্যের সেই নগ্নতাকে ফিরিয়ে আনবেন – তাহলে কী ঘটতে পারে? এটা অবশ্যই বলতে হবে যে, এখন কেউই নগ্ন অলিম্পিক ফিরিয়ে আনার কথা বিবেচনা করছে না।কিন্তু যেটা ভাবার বিষয় তা হলো, এরকম কিছু হলে অ্যাথলেটিক্সস প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক রীতিনীতি, লিঙ্গবৈষম্যবাদ এবং আরো অনেক গুরুতর বিষয় নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতো। প্রথমেই যেটা মনে আসবে যে, নগ্ন অবস্থায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নামলে অনেক প্রতিযোগীর ক্ষেত্রেই বেকায়দায় পড়ার মত কিছু সমস্যা দেখা দেবে। আধুনিক প্রতিযোগীরা অনেক খেলাতেই তাদের নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন প্রায়-নগ্ন অবস্থাতেই। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের পরনে থাকে শুধু জাঙ্গিয়ার মত আঁটোসাঁটো স্প্যানডেক্স। অ্যাথলেটদের কিছুকিছু পোশাক আছে, যার একটা প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো, মেয়েদের স্তন এবং পুরুষদের যৌনাঙ্গকে জায়গামত আটকে রাখা। নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল প্রটেকশন এ- কমফর্ট সেন্টারের বিশেষ প্রকল্প পরিচালক শন ডিটন বলেন, ‘এ নিয়ে বেশি খোলাখুলি কিছু বলার দরকার নেই, তবে অ্যাথলেটদের পোশাক অন্তত এই স্বস্তিটা দিতে পারে। অন্যদিকে এই আরাম ছাড়া অ্যাথলেটিক্সসে একজন ক্রীড়াবিদের পারফরমেন্সের ক্ষেত্রে তার পোশাক আর কী ভুমিকা রাখতে পারে তা ততটা স্পষ্ট নয়।’ আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্নের অধ্যাপক ওলগা ট্রয়নিকভ বলেন, ‘এটা আসলে নির্ভর করে পোশাকটা কী, তা অ্যাথলেটের দেহের সাথে কতটা মানিয়েছে এবং খেলাটা কী – তার ওপর। অ্যাথলেটের জন্য পোশাক যা করে তাহলো, তার দেহকে একটা বাঁধুনি দেয় – যার ফলে অ্যাথলেট যা করছেন সেদিকে তার পেশীর শক্তিকে আরো ভালোভাবে সঞ্চালিত হতে পারে। যেমন ভারোত্তলনের ক্ষেত্রে একজন ওয়েটলিফটারের বেল্ট এবং তার পোশাক – তার পেশীকে স্থিতিশীল করে – যার ফলে তার শক্তি আরো ভালোভাবে তার কাজের দিকে চালিত হয়। এ পোশাকের অভাবে তার পারফরমেন্সের ক্ষতি হতে পারে। অন্যদিকে ক্রীড়াবিদের পোশাক যদি অত্যন্ত মসৃণ হয় তাহলে তা বাতাস বা পানির মধ্যে দিয়ে যাবার সময় যে রেজিস্ট্যান্স বা বাধার সৃষ্টি হয় – তা কমিয়ে অ্যাথলেটকে সহায়তা করতে পারে।’ সাইক্লিস্টরা এজন্য তাদের পায়ের লোম কামিয়ে ফেলে এবং এমন ধরনের অতি-আঁটোসাঁটো পোশাক পরে – যাতে বাতাসের সংঘর্ষজনিত বাধার পরিমাণ অনেক কমে যায়। পোশাক থেকে অ্যাথলেটের সুবিধা পাবার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত দেখা যায় সাঁতারের ক্ষেত্রে। তবে ওলগা ট্রয়নিকভ বলেন, সুইমিংএর ক্ষেত্রে একসময় প্রায় এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছিল যে এটি মানবদেহের অ্যাথলেটিক্স নৈপুণ্যের চাইতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রতিযোগিতায় পরিণত হবার উপক্রম হয়েছিল। এ নিয়ে সবচেয়ে বেশি হৈচৈ হয় ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকের সময়। সেই অলিম্পিকে সাঁতারুরা মোট ২৫টি বিশ্বরেকর্ড ভেঙেছিলেন, আর তার মধ্যে ২৩টি ভেঙেছিলেন এক বিশেষ ধরনের পুরো শরীর-ঢাকা পলিইউনিথেন সুইমস্যুট পরে – যার নাম দেয়া হয়েছে এলজেডআর রেসার। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা ওই এলজেডআর রেসার স্যুট তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন।নাসা বলছে, এই স্যুট পরার ফলে সাঁতারুর দেহের সাথে পানির ঘর্ষণের মাত্রা ২৪ শতাংশ কমে যায়, এবং এ পোশাক এমনভাবে দেহকে চেপে ধরে রাখে যার ফলে ড্র্যাগ (অর্থাৎ বিপরীতমুখী বাধার ফলে গতি কমে যাবার প্রবণতা) হ্রাস পায়। এরপরে ২০১০ সালে সাঁতারের আন্তর্জাতিক প্রশাসক সংস্থা ফিনা সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে অ্যাথলেটদের মধ্যে যারা এই এলজেডআর রেসারের মত পোশাক পরেছেন তারা অন্যান্যের তুলনায় অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছেন। ফিনা এখন এমন ধরনের পোশাক পরে প্রতিযোগিতায় নামা নিষিদ্ধ করেছে – যাতে গতি, পারফরমেন্স ইত্যাদির ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। এর অর্থ হচ্ছে, সাঁতারুরা যদি সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে প্রতিযোগিতা করেন তাহলে তাদের পারফরমেন্সে তেমন কোন নাটকীয় প্রভাব পড়বে না – স্তন বা পুরুষাঙ্গ ঝুলে থাকার অসুবিধা ছাড়া। অ্যাথলেটের পোশাকের জন্য অন্য খেলার ফলাফলের ওপর কোন প্রভাব পড়ে কি না- তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ওলেগা ট্রয়নিকভ বলেন, ‘এমন অনেক দাবি আছে যে অমুক পোশাক পরলে এই হয়, সেই হয় – কিন্তু সত্যিটা হলো, এসব কথায় সারবস্তু তেমন কিছু নেই।’বলা হয়, আঁটোসাটো খেলার পোশাক – যাকে বলে ‘কমপ্রেশন গার্মেন্ট’ – এমনভাবে ডিজাইন করা যে তা মানবদেহে রক্তপ্রবাহের ধরন পাল্টে দিয়ে রক্তকে বেশি অক্সিজেন শোষণ করতে সহায়তা করে। এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে, কিন্তু তার ফল নিয়ে বিজ্ঞানীরা প্রায় সমান দু’ভাগে ভাগ হয়ে গেছেন। এসব পোশাক পরে অ্যাথলেটের পারফরমেন্সে কোন উন্নতি ঘটোনোরও তারা বিরোধী। এ নিয়ে কিছু গবেষণা হয়েছে, কিন্তু তাতে সুনির্দিষ্ট কোন ফল পাওয়া যায়নি।তবে জুতোর ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাপারটা আলাদা – শুধু পারফরমেন্স বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নয়, খেলোয়াড়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যেও। উপযুক্ত জুতা পায়ের বিভিন্ন অংশকে সহায়তা দেয়, পায়ের পাতার গোল অংশের চারদিকে গদির মত আবরণ তৈরি করে – যাতে দৌড়ানোর সময় অনেক সুবিধা হয়। তাছাড়া দৌড়-ঝাঁপের ফলে পায়ের হাড়, লিগামেন্ট ও পেশীর ওপর যে অভিঘাত হয় – সেটাও কমাতে ভুমিকা রাখে জুতা। নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির উইলসন কলেজ অব টেক্সটাইলের একজন শিল্প প্রকৌশলী পামেলা ম্যাকলে বলেন, ‘মানুষের দেহের পুরো ওজনটা বহন করে পা, এবং সেই কারণেই উন্নতমানের জুতা পরাটা এত প্রয়োজনীয়।’ নিরাপত্তার জন্য কিছু খেলার ক্ষেত্রে আরো বিশেষ ধরনের জুতার দরকার হয়। অলিম্পিক সেইলিং বা পাল-তোলা নৌকা চালনার ক্ষেত্রে প্রতিযোগীরা যখন নৌকার পাশ থেকে ঝুলতে থাকেন তখন তারা নির্ভর করেন তাদের বিশেষ ধরনের জুতার ওপর, যা তাদের পিছলে পড়ে যাওয়া ঠেকাতে এবং ভারসাম্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে। ফলে এই জুতা একই সাথে তাদের পারফরমেন্স উন্নত করছে, আবার বিপজ্জনক দুর্ঘটনাও প্রতিরোধ করছে। পামেলা ম্যাকলে বলেন, ‘কেউ যদি নগ্ন অলিম্পিক চালু করতে চায় – আমার আপত্তি নেই, কিন্তু অ্যাথলেটকে অন্তত জুতা পরতে দিন।’ নগ্ন অলিম্পিক হলে অনেকে তাতে প্রতিযোগিতা করবেন কিনা সেটাও হতে পারে এক বড় প্রশ্ন। অলিম্পিকে নগ্নতা যদি বাধ্যতামূলক হয় তাহলে জুতো পরার সুযোগ থাকুক আর নাই থাকুক – কিছু অ্যাথলেট হয়তো প্রতিবাদ জানিয়ে এ থেকে বেরিয়ে যাবেন। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জে-ার স্টাডিজের অধ্যাপক রুথ বারকান একটি বই লিখেছেন যার শিরোনাম ‘নগ্নতা: একটি সাংস্কৃতিক ব্যবচ্ছেদ’। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেসব দেশে শালীনতা একটা বড় ভুমিকা পালন করে সেখানে হয়তো নগ্ন অলিম্পিকে অংশ নেয়ার প্রশ্নই উঠবে না। নগ্ন অলিম্পিকে যদি ১৮-বছরের কম বয়স্ক অ্যাথলেটরা অংশগ্রহণ করে তাহলে এ নিয়ে গুরুতর নৈতিক ও আইনগত প্রশ্নও উঠবে। প্রাচীন গ্রিক অলিম্পিক ছিল অনেকটা ধর্মীয় প্রকৃতির। তাতে এমনকি ১২ বছরের অ্যাথলেটরাও নগ্ন হয়ে অংশগ্রহণ করতো।’ কিন্তু ব- বলেন, সেখানে কোন রকম যৌন কর্মকা- বা অ্যাথলেটদের যৌন দৃষ্টিতে দেখা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল এবং একে নিন্দনীয় ব্যাপার হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু এ যুগে অবস্থাটা মোটেও সেরকম হবে না। সেই যুগে অলিম্পিকের নগ্নতার একটা ভিন্ন অর্থ ছিল, কিন্তু আজ এটাতে অন্তর্নিহিতভাবেই যৌনতা চলে আসব, তা পর্নোগ্রাফিক হয়ে উঠবে। এবং এরই পরিণামে অনেকে এর শিকারে পরিণত হবে।’ প্রাচীন গ্রিসে, অলিম্পিকের দর্শকরা ছিলেন প্রধানত সমাজের এলিট বা উচ্চশ্রেণীর পুরুষরা। তারা অভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিবেশ থেকে আসতেন। কিছু অবিবাহিত নারীকেও অলিম্পিকে আসতে দেয়া হতো। কিন্তু আজকের যুগ এর সম্পূর্ণ বিপরীত। অলিম্পিকস এখন সারা দুনিয়ার কোটি কোটি দর্শকের কাছে সম্প্রচারিত হচ্ছে। এ অবস্থায় নগ্ন অলিম্পিক হলে কিছু দেশ হয়তো টিভিতে এর সম্প্রচার নিষিদ্ধ করবে। আবার অন্য কিছু উদারনৈতিক দেশে হয়তো মিডিয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে এই ইভেন্ট নিয়ে দেখা দেবে ব্যাপক উত্তেজনা। রুথ বারকান বলেন, দর্শকদের মধ্যে এর প্রতিক্রিয়া হবে খুবই মিশ্র। কারণ একজনের চোখে যদি কোন কিছুকে শৈল্পিক, মহৎ বা গৌরবজনক মনে হয়, আরেকজন হয়তো সেটাকেই একটা জঘন্য জিনিস বলে মনে করবে। সামাজিক মাধ্যমে দেখা যাবে, এ নিয়ে বিচিত্র ধরনের মতামত প্রকাশিত হবে। যেসব অ্যাথলেটের দেহ নিয়ে ভালো বা মন্দ কথা বলা হবে – হয়তো তাদের পারফরমেন্সের ওপরও এর একটা প্রভাব পড়বে। আবার এমন কিছু অ্যাথলেটও হয়তো দেখা যাবে যে তারা তাদের প্রতি মানুষের এই আগ্রহকে খুব পছন্দ করছেন। তাদের হয়তো থাকবে একটি নিখুঁত সুঠাম দেহ, এবং তারা সেটাকে প্রদর্শন করবে। কিন্তু এমন হতে পারে যে, সবচেয়ে আত্মবিশ্বাসী অ্যাথলেটের জন্যও তার প্রতি মানুষের এই আগ্রহকে সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে। কারণ মিডিয়া এবং পপ কালচার কি করবে তা এই অ্যাথলেটরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। নারী এবং ট্রান্সজে-ার বা লিঙ্গপরিবর্তনকারী অ্যাথলেটরা হয়তো মিডিয়াতে পুরুষ অ্যাথলেটদের চেয়ে বেশি বিচারের বিষয় হবেন এটা প্রায় ‘নিঃসন্দেহেই’ বলা যায়। অলিম্পিকে নগ্নতা যদি গৃহীত হয়ে যায়, তাহলে একসময় হয়তো এমনটাও হতে পারে যে, একজন অ্যাথলেটের নগ্নতাকে সমাজ আবার বীরত্ব আর গৌরবের চোখে দেখতে শুরু করবে – যেমনটা প্রাচীন গ্রিসে ছিল।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা