নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর :
বাল্যবিবাহ বন্ধে যুব সমাজ্কে সম্পৃক্ত হতে হবে; মেয়েদের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক কার্যক্রমসহ তাদের মধ্যে উচ্চাকাংখা বৃদ্ধি করতে হবে। যাতে করে মেয়েরা তাদের বিষয়গুলি তুলে ধরতে পারে।
সোমবার কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্বপ্নকুঁড়ি অডিটরিয়ামে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর চাইল্ড নট ব্রাইড (সিএনবি) প্রকল্পের জেলা পর্যায়ে প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম তার বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।
কুড়িগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এবং
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র কাজীউল ইসলাম। স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মিনহাজুল ইসলাম এবং কুড়িগ্রাম প্রেস কøাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলার ৯ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ৯ জন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনলাইনে যুক্ত থেকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর হেড অফ সেন্ট্রাল এ্যান্ড নর্দান রিজিয়ন প্রোগ্রামস আশিক বিল্লাহ, আরডিআরএস বাংলাদেশ এর হেড অফ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম আব্দুস সামাদ এবং মহিদেব যুব সমাজ কল্যাণ সমিতি (এমজেএসকেএস) এর উপপরিচালক শ্যামল চন্দ্র সরকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ”আমাদের উচিত ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদেরকে জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষণ নিতে উৎসাহিত করা। এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা থেকে শুরু করা উচিত। এই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষকদের এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আশিক বিল্লাহ। তিনি বলেন ৪ বছর মেয়াদি সিএনবি প্রকল্পটি এনআরকে টেলিথন এর আর্থিক ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর কারিগরি সহায়তা আরডিআরএস বাংলাদেশ এবং এমজেএসকেএস এর মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলার ৯ টি উপজেলা, ৭৩টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ৩টি পৌরসভায় বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ হবে। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো কুড়িগ্রাম জেলায় বাল্যবিবাহ এবং জোরপূর্বক বিবাহ বন্ধ করা।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ যৌথভাবে উপস্থাপন করেন এমজেএসকেএস এর সিএনবি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং আরডিআরএস বাংলাদেশের প্রজেক্ট কোর্ডিনেটর আব্দুল্লাহ আল মামুন । তারা সিএনবি প্রকল্পের আওতায় যুব সমাজের বিশেষ করে যুব নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ক্ষমতায়নের জন্য গৃহিত প্রধান প্রধান কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করেন। তারা আরো বলেন, কুড়িগ্রামে আগামী ৪ বছরে ১০,০০০ যুব ও যুবা দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবে। চাকুরীর বাজারে যে সকল কাজের চাহিদা রয়েছে সেই সকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহন করবে, নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং আয়ের সাথে যুক্ত হবে। সর্বোপরি বাল্যবিবাহ বন্ধে অবদান রাখবে। বাল্যবিবাহ নিবন্ধের জন্য একটি ডিজিটাল টুল ডেভেলপ করা হবে। যা কুড়িগ্রামে পাইলটিং হবে এবং পরবর্তীতে অন্যান্য জেলায় বাস্তবায়িত হবে।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষক, যুবক, সাংবাদিক, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান ও মেম্বার, ইমাম ঘটক, কাজি ও পরোহিত, মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ##
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি