অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেনীয় বাহিনীর ‘পাল্টা আক্রমণে’ ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অন্যতম প্রধান একটি ফ্রন্টলাইন থেকে পিছু হটতে হয়েছে রাশিয়াকে, ছেড়ে দিতে হয়েছে উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনে তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী দুর্গ ইজিয়ুমকেও। গত শনিবার খারকিভ প্রদেশের ইজিয়ুম শহরের এ তড়িঘড়ি পতনকে মার্চে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে সরে আসতে বাধ্য হওয়ার পর মস্কোর সবচেয়ে বড় পরাজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় হাজার হাজার রুশ সেনা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম রেখে গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইউক্রেন উত্তরপূর্ব অঞ্চলে তাদের সেনাদের অগ্রসর হওয়ার ঘটনাকে যুদ্ধের ‘মোড় পরিবর্তনের পয়েন্ট’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিচ্ছে। রুশ বাহিনী তাদের দনবাস অভিযানের রসদ ঘাঁটি হিসেবে ইজিয়ুমকে ব্যবহার করতো। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রপরিচালিত বার্তা সংস্থা তাসকে বলেছে, তারা রুশ বাহিনীকে ওই এলাকা ছেড়ে দোনেৎস্কের অন্যান্য এলাকায় মোতায়েন সেনাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সেখানকার অভিযানের গতি বাড়াতে বলেছে। খারকিভের রুশ প্রশাসনের প্রধান ‘জীবন বাঁচাতে’ বাসিন্দাদের প্রদেশটি ছেড়ে রাশিয়ায় চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বলে তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বিভিন্ন শহরের পুনর্দখল নেওয়া নিয়ে ইউক্রেন যা যা বলছে, তার সব সত্যি হলে তা হবে রাশিয়ার জন্য বড় ধরনের ধাক্কা। কিয়েভ বাহিনীর এ পাল্টা আক্রমণে রুশ বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও ভাষ্য পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর। এ জয় ইউক্রেনের উদ্দীপনা বাড়াবে। দেশটি তাদেরকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে আসা পশ্চিমা দেশগুলোকে তাদের সক্ষমতা এবং তারা যে ধারাবাহিক সহায়তা পাওয়ার উপযুক্ত, তা দেখাতে বদ্ধপরিকর ছিল। শনিবার কিয়েভে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা বলেছেন, ইউক্রেনের বাহিনী তাদেরকে যে অস্ত্র দেওয়া হয়েছে, তা দিয়ে যে তারা রুশ বাহিনীকে হারাতে সক্ষম, তা দেখিয়েছে। “সেজন্যই ফের বলছি, যত অস্ত্র আমরা পাবো, তত দ্রুত আমরা জিতবো, তত দ্রুত যুদ্ধ শেষ হবে,” বলেছেন তিনি। রাতে দেওয়া ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমির জেলেনস্কি জানান, চলতি মাসের শুরুতে পাল্টা আক্রমণ শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ইউক্রেন প্রায় ২ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পুনর্দখল করেছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু