জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
সিলেট নগরীর কাষ্টঘর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে হামলা ও হেনস্থার শিকার হন ম্যাজিস্ট্রেট, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী, পুলিশ সদস্যরা। বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেছে এই ঘটনার শিকার হন। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় সিলেট নগরীর কাষ্টঘর এলাকায় অভিযুক্ত তনিম কান্তি দত্ত (৪৫) এর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় অভিযুক্ত তনিম কান্তি দত্তকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর সহকারী প্রকৌশলী বকুল চন্দ্র চক্রবর্তী সিলেট কতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ারুল হক সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সিলেট নগরীর কাষ্টঘর এলাকায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিল না দেওয়রি জন্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে তনিম কান্তি দত্তের বাসায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ম্যাজিস্ট্রেট তনিম কান্তি দত্তকে বকেয় বিল পরিশোধের জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তনিম কান্তি এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেননি। তাই বিধি মোতাবেক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে আসামি তনিম কান্তি দত্ত, তনয় কান্তি দত্তসহ অজ্ঞাতনামা আরও চার পাঁচ জন বাঁধা প্রধান করেন এবং ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী প্রকৌশলী ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে বিদ্যুতের কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চাবি নিয়ে নিয়ে যান হামলাকারীরা।
এসময় তারা ডিউটিরত পুলিশের উপরও আক্রমন করেন। এতে এএসআই খোরশেদ আলম, এএসআই মোস্তাফিজুর রহমান কনস্টেবল বাবুল আহত হন। পরবর্তিতে আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। এসময় তনিম কান্তি দত্তকে আটক করে পুলিশ। তবে তখন অন্যান আসামিরা পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে বিউবো, সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামছ-ই-আরেফিন বলেন, অভিযুক্ত তনিম কান্তি দত্তকে ইতোপূর্বে অনেকবার বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আজ অভিযানের সময়ও বিল পরিশোধের জন্য অনুরোধ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্টিট। কিন্তু তিনি এসব না শুনে আমাদের উপড় দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ আক্রমন করেন, খারপ ব্যবহার করে সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেন। এ ব্যপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আমরা মামলা করেছি।
এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে হামলা ও হেনস্থার শিকার হন ম্যাজিস্ট্রেট, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী, পুলিশ সদস্যরা। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুজনের নাম উল্লেখ করে ও ৪/৫ অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি