অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বন্যার পানি কমতে ছয় মাস সময় লাগতে পারে। কলেরা ও ডেঙ্গুসহ জলবাহিত রোগের হুমকির কারণে ভয় আরও বেড়েছে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পার্বত্য অঞ্চলে বৃষ্টি ও হিমবাহ গলে যাওয়ার কারণে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আনুমানিক তিন কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও অনেক বাড়িঘর, রাস্তা, রেলপথ, গবাদি পশু ও ফসল বন্যায় ডুবে গেছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান এখন তিন কোটি ডলারের বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বন্যার পানি বৃদ্ধির ঝুঁকি এখনও রয়েছে। বিশেষ করে সিন্ধু প্রদেশের সিন্ধু নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী অবিরাম বৃষ্টিপাত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রসারিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ গত সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দীর্ঘস্থায়ী বর্ষাকাল বন্যার পানি পরিষ্কার করার চেষ্টাকে পিছিয়ে দেবে। আনুমানিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তিনি আরও বলেন, দেশের বৃহত্তম মিঠা পানির হ্রদ মানচর সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই উপচে পড়ছে। প্রদেশটিতে বন্যার পানিতে কয়েকশ গ্রাম এবং এক লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু