অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথবারের মতো সাফ উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে। ২০০৩ সালে ছেলেদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের পর এটি বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ অর্জন। তবে, এই পথটা কখনই সহজ ছিল না। ফুটবল খেলতে গিয়ে অনেক ঠাট্টা- উপহাস সহ্য করতে হয়েছে নারী ফুটবলাদের। সব উপহাস উপেক্ষা করে আজ বাংলার নারী ফুটবলারার দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। আর এই ফুটবলারদের যে মানুষটি আগলে রেখেছেন তিনি নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। দীর্ঘ দিন ধরে অনেক পরিশ্রম দিয়ে তৈরী করেছেন সাবিনা-কৃষ্ণাদের। তবে, একসময় তাকেও শুনতে হয়েছে কটাক্ষ। এমনকি একসময় তাকে মহিলা কোচ বলেও ডাকা হতো। মেয়েদের ইতিহাস গড়ার দিন ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পুরোনো স্মৃতিচারণ করে বলেন, এটা আমার একার সাফল্য নয়, সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় আমরা এখানে এসেছি। আজকে এই জিনিসটা বলতে হয়, যখন আমি মহিলা দলের কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন আমার বন্ধু-বান্ধবরাও আমাকে বলত যে ‘মহিলা কোচ’। যখন রাস্তায় হেঁটে যেতাম, আমাকে বলা হত ‘মহিলা কোচ’। এভাবে উপহাস করত। আমার কাছে ওরকম লাগত না। আমি কাজকেই পছন্দ করতাম। তিনি নারী ফুটবলারদের প্রশংসা করে আরও বলেন, প্রথমেই আমি মেয়েদের আবারও স্যালুট জানাব। তারা আসলে অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলেছে। দেশের প্রতি, বাবা-মায়ের প্রতি তাদের যে কৃতজ্ঞতাবোধ, সেটা তারা দেখিয়েছে। আজকে মেয়েরা এ পর্যন্ত এসেছে, তারা তৈরি হয়েছে। ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, উনি ২০১৬ সালে স্বপ্ন দেখেছিলেন, দীর্ঘমেয়াদী ট্রেনিং যদি আমরা করি, একসঙ্গে মেয়েদের যদি রাখতে পারি, তাহলে মনে হয় সফলতা আসবে। সেটা আজ এসেছে।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা