নিজস্ব প্রতিবেদক:
সেবা রপ্তানি বৃদ্ধিতে দেশের আয় বাড়ছে। আর রপ্তানি আরো অনেক বাড়ানোর সুযোগও রয়েছে। কারণ বিভিন্ন ধরনের সেবার বিশ্ববাজার বিশাল। প্রতিনিয়ত বাজার বড় হলেও ওই খাতে যথেষ্ট মনোযোগ দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু সব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে সেবা রপ্তানি আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার চলতি অর্থবছর সেবা রপ্তানি থেকে ৯ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। অন্যদিক পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫৮ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত ২০২১-২২ অর্থবছর উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে পণ্যের মতো সেবা রপ্তানিও। আগের অর্থবছরের চেয়ে সেবা খাতে রপ্তানি আয় প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৯ শতাংশের মতো রপ্তানি বেশি হয়েছে। মোট ৮৮৯ কোটি ডলারে বিভিন্ন ধরনের সেবা রপ্তানি হয়েছে। যদিও দীর্ঘদিন সেবা রপ্তানিতে তেমন গতি ছিল না। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬৬১ কোটি ডলারের সেবা রপ্তানি হয়। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৯ শতাংশ বেশি ছিল। তবে লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৬ শতাংশের মতো রপ্তানি কম হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সেবা রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬০৮ কোটি ডলার, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে কম ছিল। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সেবা রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬৩৪ কোটি ডলার।
সূত্র জানায়, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সেবা থেকে সেবা রপ্তানি খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় আসে। কিছু উদ্যোগ নেয়া গেলে বিভিন্ন সেবা রপ্তানি বর্তমানের কয়েক গুণ করা সম্ভব। প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে দেশের ব্র্যান্ডিং বাড়ানো প্রয়োজন। পণ্য রপ্তানির মতো সেবা খাতেও ভিয়েতানাম প্রধান প্রতিযোগী। গত অর্থবছর কম্পিউটার সফটওয়্যার ও ডাটা প্রসেসিং পরমার্শক সেবা মিলে মোট ৫৯ কোটি ডলার আয় হয়েছে। যা আগের বছরের চেয়ে ৯৫ শতাংশ বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশ থেকে সেবা রপ্তানিতে বড় সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সম্ভাবনার তুলনায় সেবা রপ্তানি যথেষ্ট কম। সরকারকেই সেবা রপ্তানি বাড়াতে মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোকে ব্যবহার করা, সেবার মান উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা ও অবকাঠামোর মতো বিষয়ে আরো মনোযোগ প্রয়োজন। অভ্যন্তরীণ সেবা খাত দাঁড়িয়ে গেলে রপ্তানি থেকে যেমন বড় আয় আসবে, পাশাপাশি কমে আসবে আমদানিরও প্রয়োজন।
সূত্র আরো জানায়, গত অর্থবছরে পরিবহন সেবা থেকে দেশ ১৭৫ কোটি ডলার আয় করেছে। নির্মাণ সেবা থেকে এসেছে ১০৮ কোটি ডলার। পর্যটন থেকে এসেছে ৩৫ কোটি ডলার। অন্য বড় সেবা খাতের মধ্যে রয়েছে ব্যাংক-বীমা, গবেষণা ও উন্নয়ন, মেধাস্বত্ব ইত্যাদি। বিদেশি বিমান, জাহাজ কিংবা অন্যান্য পরিবহন বাংলাদেশ থেকেজ্বালানি নিলে তাও সেবা রপ্তানির আওতায় আসে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি