নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর :
বাংলাদেশে বসবাসরত উর্দ্দুভাষীদের সংগঠন এসপিজিআরসি ৩ ব্যাপি ১৭তম কাউন্সিল অধিবেশনের শেষে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুরের পানসি কমিউনিটি সেন্টার এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এসপিজিআরসি যুগ্ন সম্পাদক এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন । তিনি বলেন ২৩,২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর পানসি কমিউনিটি সেন্টারে কাউন্সিল অধিবেশনের বাংলাদেশের ১৩টি জেলায় সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্বদানকারী প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশে বসবাসরত উর্দ্দুভাষীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণসহ রাষ্ট্রিয়ভাবে নাগরিকত্বে স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ভবিষ্যতের সাংগঠনিক পরিকল্পনা ও কার্যক্রম নিধর্ুুারনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আলোচনায় কাউন্সিলে অংশ গ্রহনকারী নেতৃবৃন্দ কতগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন এসপিজিআরসি-বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বাংলাদেশ ব্যাপী সকল শাখা কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষনা করার পূর্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নির্বাচনে জেলা পর্যায়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দগণের মতামতের ভিত্তিতে কার্যনির্বাহী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব এম. শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক জনাব হারুন-অর-রশিদ কে মনোনীত করা হয়। শাখা কমিটি গুলো পূণঃগঠনের জন্য আহব্বায়ক ও ৪ সদস্যসহ ৫ সদস্যে বিশিষ্ট আহব্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
তিনি বলেন .প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গত ০৬-১১-২০২২ দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় পরিদর্শনকালে ক্যাম্পে বসবাসকারী বিহারীদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, আবাসনের সুবিধা, নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং মানবিক বিষয় বিবেচনাক্রমে তাদের সুবিধাজনক স্থানে স্থানান্তর করার নির্দেশনা প্রদান করেন। গত ১৮/০৪/২০১৫ তারিখ বিহারীদের পূর্ণবাসনে এসপিজিআরসি-বাংলাদেশ এর প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকে আশ^স্তকরণ এবং সর্ব সদ্য গত ০৬/১১/২০২২ তারিখে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাথে একটি ইভেন্ট গণভবন থেকে দেয়া বক্তব্যে বিহারীদের জীবনমান উন্নয়নে তাঁর দৃঢ় প্রতিজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁর দেয়া সেই আশার আলোকে আমরা চাই নাগরিকত্বের স্বীকৃতি প্রদান, নাগরিক সুযোগ সুবিধা (মৌলিক অধিকার) ানশ্চিতকরণ সহ স্বসম্মানে পূর্নবাসন কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা হক।
বাংলাদেশ ব্যাপি বিহারীদেও সম্পুর্ণ পূর্ণবাসন না হওয়া পর্যন্ত প্রধান মন্ত্রীর পিতা বিশ^নন্দিত নেতা বঙ্গবন্ধু শহিদ শেখ মুজবির রহমানের দেয়া বিহারীদের জন্য বাসস্থান, ক্যাম্পে বিদ্যুৎ, পানি, নিরাপত্তাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা বহাল রাখার আহব্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে খালিশপুর (খুলনা), ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ যে সমস্ত জেলায় দেশ বিভাগের পর ভারত থেকে যারা হিজরত করে এসেছিলেন তাদের জন্য হাউজিং নির্মাণ করে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছিল। যা বাংলাদেশ স্বাধিনতা লাভের পর পরিত্যাক্ত সম্মত্তি হিসাবে সরকারের আওতাভুক্ত হয়ে যায়। ঐ সকল হাউজিং এর বাড়ীতে এখনও মূল বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তির উত্তরসূরীরা (সন্তান, ভাই, বোন বা পরিবারের অন্যান্য সদস্য) বসবাস করছে। সে হাউজিং এর বাড়ী গুলো বিনা মূল্যে অথকা স্বল্প মুল্যে তাদের বরাদ্দ দিয়ে বিহারী পূর্ণবাসন কার্যক্রমের আওতায় আনার জন্য বিশেষ আবেদন জানানো হচ্ছে।
দেশব্যাপি সকল ক্যাম্প যেগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ে, কেডিএ, হাউজিং এস্টেট, সিটি কর্পোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদসহ অন্যান্য প্রশাসনের আওতাভুক্ত সে সকল ক্যাম্প সমূহকে উচ্ছেদ না করার জন্য আহব্বান করা যাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ ১৭তম কাউন্সিলে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো সরকারের অতি সত্ত্বর দাখিল,পেশ করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এবং দাখিল করার ১৫ দিনের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে যদি কোন ধরনের আশ^াস না পাওয়া যায়, তাহলে এসপিজিআরসি-বাংলাদেশ পরবর্তিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ঘেরাও, আত্মহুতি, মানবন্ধন, অণশন ধর্মঘটসহ বিভিন্ন ধরণের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী নেওয়ার জন্য এসপিজিআরসি-বাংলাদেশ এর কেন্দ্রয় কমিটি থেকে এসপিজিআরসি-বাংলাদেশ এর সকল শাখার মতামতের ভিত্তিতে যে কোন কর্মসুচী গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এ সময় এসপিজিআরসি-বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম. শওকত আলী এসপিজিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল জব্বার খানসহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন । ##
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি