অনলাইন ডেস্ক :
জ্বালানির খোঁজে উপসাগরীয় দেশগুলোতে সফরে গিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলতস। প্রথম দিনই তিনি সৌদি আরব সফর করেন। সেখানে দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন জার্মান চ্যান্সেলর। রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প পেতে উঠে পড়ে লেগেছে ইউরোপের দেশগুলো। ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, আসন্ন শীতকালিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথেষ্ট গ্যাসের মজুদ আছে বলেই দাবি জার্মানির। তারপরেও ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে উপসাগরীয় দেশগুলো সফর করছেন শলতস। এ লক্ষ্যে তিনি সৌদি আরবের শহরর জেদ্দায় মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর। ধারণা করা হচ্ছে, এ সফরের মধ্য দিয়ে তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে নতুন জ্বালানি চুক্তিতে পৌঁছাবে বার্লিন। এই সফরে শলৎসকে তাই সঙ্গ দিচ্ছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও। তবে উপসাগরীয় দেশগুলোতে জার্মান চ্যান্সেলরের এই সফর ঘিরে মানবাধিকার ইস্যুও সামনে আসছে। বিশেষ করে সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার প্রেক্ষিতে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন-সালমানের সঙ্গে তার বৈঠককে বেশ স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে গিয়ে ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে এই বিষয়ে শলৎস আলোচনা তুলবেন কি না তা নিয়ে অনেকের সংশয় ছিল। তবে বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে শলৎস বলেন, মানবাধিকার সংক্রান্ত সব প্রশ্ন নিয়েই আমরা আলোচনা করেছি। বলা উচিত ছিল এমন কোনো কিছুই বাদ দেয়া হয়নি। জার্মান গণমাধ্যমগুলো বসছে, মানবাধিকার উদ্বেগ পাশে রেখেই জ্বালানি নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে নতুন অংশিদারিত্বে পৌঁছাতে চায় বার্লিন।এ ক্ষেত্রে ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে একটি নিবিড় কার্যকরী সম্পর্কের কথাও ভাবছে তারা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনে সৌদি আরবের সঙ্গে প্রযুক্তিগত সহায়তা সম্প্রসারণ করতে চায় বার্লিন। সফল হলে রাশিয়ার জ্বালানির বিকল্প হিসেবে আগামী দিনগুলোতে উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে বিপুল হাইড্রোজেন আমদানির সুযোগ তৈরি হবে জার্মানির। এই সফরের মাধ্যমে উপসাগরীয় আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদারেরও লক্ষ্য রয়েছে জার্মান চ্যান্সেলরের।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু