চাঁদপুরে রবিবার চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করা ১৬ বছর বয়সী কিশোর আওয়ামী লীগ নেতা রফিক উল্লাহর খুনি হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল রশিদ জানান, ডিএনএ পরীক্ষার পর ওই কিশোরের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে তার পোশাক দেখে শনিবার রফিক হত্যার পেছনে সে জড়িত আছে বলে আমরা সন্দেহ করছি।
রবিবার ভোররাতে অমিত সন্দেহে ওই কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় চাঁদপুর রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নতুন বাজার এলাকার একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে ছুরিকাঘাতপ্রাপ্ত চাঁদপুর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ৭০ বছর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উল্লাহর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই হোটেলে তিনি একাই থাকতেন। পরে নিহত রফিকের ভাতিজা তন্ময়ের অভিযোগে ভিত্তিতে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
হোটেলের কর্মচারী মিরাজের বরাতে এক পুলিশ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ওই কিশোর ও রফিকের মধ্যে সখ্যতা ছিল এবং সে প্রায়ই রফিক উল্লাহর সঙ্গে দেখা করতেন।
মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কান্তি বড়ুয়া জানান, হোটেলের সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজে হত্যার দিনও অমিত রফিকের রুমে গিয়েছিল এবং ঘটনার কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে সে দৌঁড়ে পালিয়ে যেতেও দেখা গেছে।
তিনি ইউএনবি বলেন, ইতোমধ্যে তার বাবা-মা কিশোরটিকে অমিত বলে শনাক্ত করেছেন। তাছাড়া ছেলেটি মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে সে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।
ওসি রশিদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে অমিত আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম