ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে দেশটির ঢাকাস্থ ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার(২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে একটি বর্ধিত অংশীদারিত্ব প্রদর্শন করে দিবসটি উদযাপন করে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক বিভাগ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সামরিক কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষাবিদদের পাশাপাশি সাংবাদিক অতিথিদের স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রদূত হেরু তুলে ধরেন, এ বছর ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে।
তিনি বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও আরও বেশ কিছু খাতে সহযোগিতা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আশিয়ান-এ ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকা এবং জি ২০-তে ইন্দোনেশিয়ার সভাপতিত্বের বিষয়টি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী এসময় জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন বহুপক্ষীয় সংস্থার অংশীদার থেকে শুরু বিভিন্ন শক্তিশালী সম্পর্ক ও অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশসমূহের চারটি সংস্থার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এগুলো হলো- জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরাম উল্লেখযোগ্য।
হাছান মাহমুদ রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে ইন্দোনেশিয়ার আরও বেশি ভূমিকার প্রত্যাশাও করেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে ইন্দোনেশিয়ার আগ্রহের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের কথার প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী এও কামনা করেন যে বর্তমান সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে উন্নত করার একটি উপায় হিসেবে কাজ করবে।
এসময সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলার পাশাপাশি আমন্ত্রিত অতিথিদের আকৃষ্ট করতে ‘ইন্দোনেশিয়ান পণ্য প্রদর্শনী’- শিরোনামের বেশ কয়েকটি রপ্তানিমুখী পণ্যের প্রচার করা হয়।
এসময় দূতাবাস পিটি’র বিমান সিএন২৩৫-২২০, ইন্দোনেশিয়ার দিরগান্তরা এবং পিটি’র সামরিক প্যারাসুট ‘লঙ্গিত বিরু’ ইত্যাদির ক্ষুদ্র অনুকৃতি বিশিষ্ট বেশকিছু সামরিক যান ও সরঞ্জাম প্রদর্শনী করে।
ঢাকার ইন্দোনেশিয়া সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করে।
এসময় চারজনের একটি দল ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী বাঁশ দিয়ে তৈরি বাদ্যযন্ত্র আংক্লুং বাজায়।
তারপরে চার নৃত্যশিল্পী তালে তালে একটি অসাধারণ ইন্দোনেশিয় নৃত্য উপস্থাপন করেন। এর পটভূমিতে আধুনিক সঙ্গীতের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ান ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের মিশেল ছিল।
এছাড়া সাত জনের আরেকটি দল ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী মার্শাল আর্ট পেনকাক সিলাটও পরিবেশন করে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নিয়ে ইউনূস-আইসিসির আলোচনা
দেশ সংস্কারে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র