মোঃ আবু রায়হান, শেরপুর (ঝিনাইগাতী) :
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অধিক লাভের আশায় গ্রীষ্মকালে আগাম টমেটো চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। টমেটোর ফলন ও বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় টমেটোর দামও এখন চড়া। আশাতীত দাম পেয়ে কৃষকরাও বেজায় খুশি। তাদের দেখে অন্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। কৃষি বিভাগ বলছে, এ উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের ব্যাপক সম্ভাবনাও রয়েছেন। উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে অত্র উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৬০ শতাংশ জমিতে প্রায় ২০টি প্রদর্শনী প্লটে গ্রীষ্মকালীন বারি টমেটো-৮ চাষ হয়েছে। শীতকালীন এ টমেটো গ্রীষ্মকালে বাজারে বিক্রি হওয়ায় এর চাহিদাটাও বেশ ভালো। এই টমেটো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে শেরপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা কিনে নিচ্ছে।
বাংলাদেশে সাধারণত শীতকালে টমেটোর চাষ হয়। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) গ্রীষ্মকালীন টমেটোর জাত উদ্ভাবন করেছে। এসময় বাজারে টমেটোর চাহিদা বেশি থাকায় কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছে। এদিকে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছে এবং চাষেও বাড়ছে আগ্রহ। ঝিনাইগাতী উপজেলার উত্তর ধানশাইল গ্রামের কৃষক মোঃ মতিউর রহমান বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমি চলতি মৌসুমে ৩ শতাংশ জমিতে বারি টমেটো-৮ জাত চাষ করেছি। জুন মাসের প্রথম দিকে টমেটোর চারা রোপণ করেছিলাম। চলতি মাসের শেষের দিকে টমেটো পেকেছে এবং ফলনও ভালো হয়েছে। প্রথম চাষ করেই আশানুরূপ ফলন হওয়ায় আগামী বছর এক একর জমিতে টমেটো চাষাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার নানান জটিলতা থাকলেও গ্রীষ্মকালীন টমেটোর ভালো ফলন হয়েছে। বেশ লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের এই টমেটো চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। এখানকার মাটিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি