অনলাইন ডেস্ক :
বেলারুশের ক্রীড়াবিদ ক্রিস্টিনা তিমানোভস্কায়াকে নিয়ে টোকিও অলিম্পিকে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ২০০ মিটার স্প্রিন্টের এই ক্রীড়াবিদকে জোর করে দেশে ফেরত পাঠাতে চাইলে তিনি ফিরে যেত রাজি হননি। এই দৌড়বিদ মনে করছেন দেশে ফিরে গেলে তার তার জীবন থাকবে না। তাকে মেরেও ফেলা হতে পারে। আর বাঁচলেও কোনো খেলায় ফিরতে পারবেন কিনা সেটাও নিশ্চিত না। অন্য কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলেও রোববার জোর করে তাকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য। টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে রয়টার্সকে তিনি বলেন, হানেদা বিমানবন্দরে পুলিশের সাহায্য নিয়েছেন তিনি যেন তাকে বিমানে তোলা না হয়। ২৪ বছর বয়সী ক্রিস্টিনা বলছিলেন, ‘আমি বেলারুশে ফিরে যাব না। আমাদের কিছু মেয়ের যথেষ্ট ডোপিং টেস্ট না হওয়ায় তারা ১০০ মিটার রিলেতে অংশ নেওয়ার জন্য এখানে আসতে পারেনি। আর কোচ আমাকে না জানিয়ে আমার নাম রিলেতে অন্তর্ভুক্ত করেন। আমি এটা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছিলাম। এরপর প্রধান কোচ এসে জানান, আমাকে বাদ দেওয়ার জন্য ওপর থেকে আদেশ দেয়া হয়েছে।’ বেলারুশে রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে যেসব অ্যাথলেটের কারাদ- হয় বা যথেষ্ট সুযোগ পান না তাদের সাহায্যে কাজ করা বেলারুশিয়ান স্পোর্ট সলিডারিটি ফাউন্ডেশনের এক সূত্র জানিয়েছে, ক্রিস্টিনা অস্ট্রিয়া কিংবা জার্মানির কাছে আশ্রয়ের আবেদন করার পরিকল্পনা করছেন। ডেইলি মেইল জানিয়েছে এই নারী ক্রীড়াবিদ পোল্যান্ডে আশ্রয় পাচ্ছেন। তাকে ওই দূতাবাসে যেতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা