নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিত্যপণ্যের বাজারে সব পণ্যের দামই ওঠানামা করছে। তবে লাগামহীনভাবে বাড়ছে মাছের দাম। সবচেয়ে কম দামে এখন বিক্রি হচ্ছে চাপিলা মাছ। এর কেজিও দেড়শ টাকার নিচে নয়। এ ছাড়া খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম আবারও দেড়শ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট সাইজের রুই মাছের কেজি ৩২০ টাকা। যা গত মাসেও বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়। মাছ যত বড় হয়, তার দামও তত বাড়তে থাকে। পাবদা মাছ সর্বনিম্ন সাড়ে ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে আকার ভেদে ৬০০ টাকা কেজি। বেলে মাছ সাড়ে ৭০০ টাকা কেজি। টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া চিংড়ি ৪০০ থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটোর দাম ১৪০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, এক হালি কাঁচা কলার দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট এক টুকরো মিষ্টি কুমড়োর দামও ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজি, আলু ৩০ টাকা। তবে বেড়েছে ডিমের দাম। ডজন প্রতি পাইকারি ১৪৩ থেকে ১৪৫ ও খুচরা ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি। উত্তর বাড্ডার বাজারে কেনাকাটা করতে আসা আবদুল হান্নান বলেন, সব জিনিসের দাম বাড়ছে। মাছের বাজার ঘুরে দেখি, সবচেয়ে কম দাম কোনটার। মাছ পছন্দের হোক বা অপছন্দের। ডিমের দামও এখন সামর্থের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আরেক ক্রেতা। তিনি বলেন, আগে খরচ বাঁচাতে ডিম আর নিরামিশ খেতাম। এখন সবজি আর ডিম দুইটারই তো অনেক দাম। এসব বাজারে কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০, লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আসলাম বলেন, সবজির সরবরাহ ভাল তাই দাম তেমন বাড়েনি। তবে দুই-একটি জাতের সবজির দাম বেশি। বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। তবে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫, চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ ও আদা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়। পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. কবির বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। আগে খোলা চিনির কেজি ছিল ৯০ টাকা। এ ছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। আগে প্যাকেট চিনি কেজি ছিল ৯৫ টাকায়। আর লালা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডালের কেজি ১০০, লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। এদিকে দাম কমেছে ডিমের। ফার্মের মুরগির লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০, হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ থেকে ২২০ টাকা। বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭০০ থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়। এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০, লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকায়। ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন- এখন পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা বলছেন, উৎপাদন কম ও খাবারের মূল্য অনেক বেড়েছে। এসব কারণে বেড়েছে মুরগির দাম।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি