অনলাইন ডেস্ক :
এমনিতে এক শহর থেকে আরেক শহরে যাওয়া কোনো দলের বিমানবন্দর থেকে প্রথম গন্তব্য হয় হোটেল। বাংলাদেশ দলও অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে এসে এতদিন তা-ই করে এসেছে। ব্যতিক্রম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচ খেলতে ব্রিসবেনে আসার পর। শুক্রবার দুপুরে সিডনি থেকে উড়ে আসা দল এখানকার বিমানবন্দর থেকে হোটেলে যায়নি আগে, সোজা চলে গিয়েছে ব্রিসবেনের বিখ্যাত গ্যাবা স্টেডিয়ামে। উদ্দেশ্য উইকেট দেখা। তা দেখতে সদলবলে মাঠে পুরো দল। যদিও এবারই ব্রিসবেনে বেশ লম্বা সময় কাটিয়ে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসানরা। নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে এখানেই এসেছিলেন তাঁরা। বিশ্বকাপের দুটো অফিশিয়াল প্রস্তুতি ছিল এই শহরে। এর একটি বৃষ্টিতে ভেসে যায়, বিরূপ প্রকৃতি অনুশীলনও করতে দেয়নি ঠিকঠাক। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচসহ অনুশীলনের ব্যবস্থা ছিল ব্রিসবনের আরেক ভেন্যু অ্যালান বোর্ডার মাঠে। গ্যাবায় তখন যাওয়ার সুযোগই হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে অদেখা এই মাঠের উইকেট দেখতে যেন তর সইছিল না বাংলাদেশ দলের। তাই ব্রিসবেনে নেমেই টিম বাস সরাসরি ছুটেছে সেখানে। ব্রিসবেনের বিমানবন্দরে দল যখন লাগেজের অপেক্ষায়, তখন টিম অপারেশন্স ম্যানেজার রাবীদ ইমাম জানাচ্ছিলেন, ‘আমরা এখনো বিমানবন্দরেই। তবে এখান থেকে হোটেলে যাচ্ছি না। আমরা টিম বাস নিয়ে সরাসরি চলে যাচ্ছি গ্যাবায়। উইকেট দেখবে পুরো দলই। ‘পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের জন্য আরো কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠা জিম্বাবুয়েকে নিয়ে যে সাকিবদের বাড়তি সতর্কতা, বিমানবন্দর থেকে সোজা গ্যাবায় চলে যাওয়াটাই তা বোঝানোর পক্ষে যথেষ্ট। সিডনির মতো ব্রিসবেনের গ্যাবায়ও আগে কখনো ম্যাচ খেলা হয়নি বাংলাদেশের। খেলার সুযোগ এসেছিল অবশ্য। ২০১৫-র ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ম্যাচ এখানেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি ম্যাচটি হতে না দেওয়ায় গ্যাবায় খেলার জন্য আরো সাত বছরের অপেক্ষা সাকিব, সৌম্য সরকার ও তাসকিন আহমেদের। এখনকার দলের এই তিনজনই ছিলেন সেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের দলে।
আরও পড়ুন
দুই শ টাকায় দেখা যাবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের খেলা
তামিম-মুশফিকের ব্যাটে জয় পেল প্রাইম ব্যাংক
বোলারদের তেতো স্বাদ দিচ্ছেন নিলামে দল না পাওয়া সল্ট