এপি, মোরবি :
ভারতের গুজরাট রাজ্যে ঝুলন্ত সেতু দুর্ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ সোমবার ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিছুদিন আগে মেরামত করা ১৪৩ বছর বয়সী সেতুটির ছিঁড়ে পড়ার ঘটনা দেশটির সবচেয়ে খারাপ দুর্ঘটনাগুলোর একটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় শতাধিক মানুষ নদীর পানিতে ডুবে যায় এবং এখন পর্যন্ত ১৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মৃতদের পরিবারের শোক দেখে ১৮০০-এর দশকের শেষের দিকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার সময় নির্মিত পথচারীদের জন্য এই ঝুলন্ত সেতু কেন ছিঁড়ে পড়ল এবং এর জন্য দায়ী কে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মাত্র চার দিন আগেই সেতুটি খুলে দেয়া হয়।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অশোক যাদব বলেন যে পুলিশ একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে এবং গ্রেপ্তারদের মধ্যে ব্রিজ অপারেটর ওরেভা গ্রুপের ম্যানেজার ও এর কর্মকর্তারাও রয়েছে।
যাদব বলেন, ‘আমরা দোষীদের রেহাই দেব না, কাউকে ছাড় দেব না।’
গুজরাট কর্তৃপক্ষ ওরেভার বিরুদ্ধে সন্দেহজনক অপরাধমূলক হত্যা, অপরাধমূলক হত্যার চেষ্টা এবং অন্যান্য লঙ্ঘনের জন্য একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সেতুটি অতীতে বেশ কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে এবং বছরের পর বছর ধরে এর অনেকগুলো মূল অংশ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
এটি প্রায় সাত মাস পরে ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষের প্রথম দিনে আবার চালু করা হয় এবং যা শত শত দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
মোরবি কর্মকর্তা সন্দীপ সিংহ জালা বলেন, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদপত্র অনুসারে কোম্পানিটি প্রথমে ফিটনেস সার্টিফিকেট না নিয়েই সেতুটি আবার খুলে দেয়। এটি স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি, তবে কর্মকর্তারা বলেছেন যে তারা তদন্ত করছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শত শত মানুষের ভারে সেতুটি ধসে পড়েছে।
সেতুটি মাঝখানে বিভক্ত হয়ে হাঁটার পথটি নিচে ঝুলছিল এবং এর তারগুলো ছিঁড়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত ১৩৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে এবং অনেককে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুজরাটের তথ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা জিগার খুন্ট বলেছেন, অন্তত ১৭৭ জনকে নদী থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২