নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনার সংক্রমণ রোধে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার (৭ আগষ্ট) সকাল ৯টা থেকে এই কার্যক্রম শুরু হলেও টিকা নিতে অনেক আগেই বিভিন্ন বয়সী মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তবে অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকা না পেয়ে ফিরে গেছেন।
শনিবার (৭ আগষ্ট) এ চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায়। এরমধ্যে পীরেরবাগ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের টিকাদান কেন্দ্রে শনিাবর মোট সাড়ে ৩০০ জনকে টিকা দেয়া হয়। টিকা নিতে লাইনে দাঁড়ানো মজিবুর রহমান (৪৫) বলেন, রেজিস্ট্রেশন করেও টিকা নিতে না পারায় গণটিকার লাইনে দাঁড়িয়েছেন। সকাল ৮টায় এখানে এসে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ইমরান নামে একজন। তিনি জানান, মাইকিং করে টিকা নিতে যাওয়ার জন্য বলা হলেও দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকা পাননি। রোববার সকালে আবার আসতে বলেছেন। ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসমাইল মোল্লা বলেন, শনিবার (৭ আগষ্ট) থেকে গণটিকা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমার ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ এখানে ৩৫০ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সংখ্যার অতিরিক্ত মানুষ উপস্থিত হলেও সকলকে টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, সুস্থ ও সুন্দরভাবে গণটিকা কার্যক্রম সফল করতে তারা রোববার থেকে টিকা গ্রহণকারীদের জন্য উপস্থিতি টোকেন পদ্ধতি চালু করবেন। আগে আসার ভিত্তিতে এ টোকেন দেয়া হবে। যারা টোকেন পাবেন তারা সবাই টিকা নিতে পারবেন।
আবার শনিবার (৭ আগষ্ট) রাজধানীর আজিমপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই টিকা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করেন অনেকে। ২৫ বছরের বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও ১৮ বছরের বেশি বয়সীরাও কেন্দ্রে হাজির হন। আজিমপুরে সিটি করপোরেশন কর্মকর্তার কার্যালয় ঘুরে দেখা যায়, এখানে মডার্নার প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ লাইন ধরে মানুষজন টিকা নিচ্ছেন। টিকা নিতে কেন্দ্রে রয়েছে মানুষের ভিড়। সবাই চেষ্টা করেন সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা নেওয়ার। স্বাভাবিকভাবে কোনো ঝামেলা ছাড়াই টিকা নিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এ এলাকার বাসিন্দারা। তারা জানান, সুষ্ঠু পরিবেশে করোনার টিকা নেওয়ায় এমন সুযোগ পেয়ে তারা খুশি।
গণটিকা দেওয়া সম্পর্কে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এ ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক জানান, প্রথম দিন এ ওয়ার্ডে ৩০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক ও নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সবাই যেন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা নিতে পারেন সেই বিষয়টিও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
এদিকে সারাদেশে ২৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য শনিবার (৭ আগষ্ট) সকাল ৯টা থেকে করোনার গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় সারাদেশে একযোগে টিকা দেয়া হচ্ছে। এতে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকর্মী ও ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম