নিজস্ব প্রতিবেদক:
পদ্মা নদীতে নাব্য সংকট দেখা দেওয়ায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নৌপথের নির্দিষ্ট চ্যানেল ছেড়ে ফেরিগুলো দুই কিলোমিটার ঘুরে ভাটিপথ দিয়ে যানবাহন নিয়ে চলাচল করছে। এতে ফেরি পারাপারে আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময় ব্যয় হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি রো রো (বড়) ফেরি চলাচলের জন্য কমপক্ষে আট ফুট পানির গভীরতা প্রয়োজন। কিন্তু দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে বিভিন্ন চ্যানেলের পয়েন্টে ডুবোচর জেগে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে চ্যানেলের মাঝনদী এলাকার পাশাপাশি দৌলতদিয়া সাত নম্বর ঘাটের ‘বেসিন’ চ্যানেলে এখন নাব্য সংকট সবচেয়ে বেশি। প্রয়োজনীয় পানির গভীরতা না থাকায় সেখানে স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলাচল করতে পারছে না। উত্তরা থেকে আসা ঝিনাইদহগামী ড্রামবোঝাই ট্রাকচালক হাবিবুর রহমান বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঘাটে যানবাহনের চাপ নেই বললেই চলে। আমরা ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারি। বিগত দিনের মতো আর দিনের পর দিন ঘাটে ট্রাক নিয়ে অপেক্ষা করতে হয় না। কিন্তু গত এক মাসের বেশি এ নৌপথ দিয়ে নদী পার হতে তুলনামূলকভাবে সময় বেশি লাগছে। নদীতে চর জেগে ওঠায় ও পানি কমে যাওয়ায় ফেরিগুলো অনেকদূর ঘুরে ঘাটে ভিড়ছে। এতে ফেরির বাড়তি জ¦ালানি তেল খরচ হচ্ছে, সেইসঙ্গে আমাদের বাড়তি সময় ব্যয় হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাহউদ্দিন বলেন, নদীতে অনেক স্থানে ডুবোচরের পাশাপাশি নাব্য সংকটের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে নৌপথের নির্দিষ্ট চ্যানেল ছেড়ে ফেরিগুলো দুই কিলোমিটার ভাটিপথ দিয়ে ঘুরে চলাচল করছে। এতে ফেরিতে কিছুটা জ¦ালানি তেলের খরচ বেড়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আক্কাছ আলী বলেন, ‘দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নৌ চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক ড্রেজার দিয়ে দ্রুত খননকাজ চলছে। আশা করছি, খননকাজ চলমান থাকলে ফেরি চলাচল ব্যাহত হবে না।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি