অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সারা দেশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর ইউক্রেন মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারে কাজ করছে। দেশে হিমশীতল ঠান্ডা পড়ছে এবং তাপমাত্রা কমছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, মস্কো যে ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল তার বেশিরভাগগুলো করে ধ্বংস করা হয়েছিল। কিন্তু সমস্ত আক্রমণই ইউক্রেনের অবকাঠামোকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়েছে। জাতীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ইউক্রেনারগো টেলিগ্রামে জানিয়েছে, হামলার কারণে সব এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ঘোষণা করা হয়েছে। ইউক্রেনারগোর প্রধান জানিয়েছেন, তার কোন সন্দেহ ছিল না যে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী হামলার সময় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোথায় আঘাত করবে তা নির্ধারণ করতে রাশিয়ান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীদের সঙ্গে পরামর্শ করেছিল। ভলোদিমির কুদ্রিতস্কি একটি ইউক্রেনীয় নিউজ প্রোগ্রামকে জানান, এই আক্রমণের জন্য রাশিয়ানরা যে সময়টি বেছে নিয়েছিল তা যতটা সম্ভব ক্ষতি করার তাদের ইচ্ছার সঙ্গে যুক্ত ছিল। দেশটি চরম তুষারপাতের সময়ে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে এই হামলা চালানো হয়। তাদের মেরামতকারীরা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে কাজ করবে বলে জানান তিনি। কয়েক মাস ধরে হামলায় ইউক্রেনের প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাইরের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) এর নিচে নেমে যাওয়ায় এই সময়ে মানুষকে ঠা-া ও অন্ধকারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে হয়। জাতিসংঘের অধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক সপ্তাহান্তে চার দিনের সফরে ইউক্রেন পৌঁছেছেন। কিয়েভের উপর ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি হওয়ায়, তাকে কর্মীদের সঙ্গে তার মিটিং একটি ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে স্থানান্তরিত করতে হয়েছিল। জেলেনস্কি তার রাতের ভাষণে ঘোষণা করেন, ‘রুশ হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। তবে আমাদের লোকেরা কখনই হাল ছাড়বে না।’ মস্কো রাশিয়ার সারাতোভ ও রিয়াজান অঞ্চলে ড্রোন হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে যা তার দুইটি বিমানঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে এবং তিন সেনা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে রাশিয়া ইউক্রেনের সামরিক কমান্ড সিস্টেম ও সংশ্লিষ্ট প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ, শক্তি ও সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু