জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
বন্যা, কখনো অতিবৃষ্টি, আবার কখনো অনাবৃষ্টি। বছরজুড়েই বিয়ানীবাজার তথা এতদঞ্চল দাবড়ে বেড়াচ্ছিলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তবে সব দুর্যোগ মাড়িয়ে এবার বিয়ানীবাজারে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু করেছেন কৃষকেরা। ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
তবে বাম্পার ফলনেও ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা কাটছে না কৃষকদের।
এদিকে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের উন্নয়ন সহায়তার মাধ্যমে কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, রিপার, মাড়াই যন্ত্র দেয়াসহ কৃষককে বিনামূল্যে উন্নত জাতের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। ফলে ফসল উৎপাদন ভালো হয়েছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহমেদ রাশেদুন নবী জানান, উপজেলায় এবার ৯১৫৫ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আর চাষ করা হয়েছে ৯২১০ হেক্টর জমি। ধান কাটার সুবিদার্থে কৃষকদের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের ধান কাটার মেশিন ও বিনামূল্যে উন্নত জাতের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।
কৃষকরা জানান, এ বছর কয়েক বার হওয়া বন্যার পরও জমিতে স্থানীয়, উফশী ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করেছি। প্রতি বছরের মত এবার ধান কাটার শ্রমিক সংকট, তাই জমির ধান উঠাতেও দেরি হচ্ছে। তবে মেশিন দিয়েও চলছে ধান কাটা। ভয়াবহ বন্যার পরও ধানের যা ফলন হয়েছে তাতে আমরা অনেক খুশি। কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের নিকট আবেদন জানিয়ে বলেন, ফসলের সঠিক মূল্য না পেলে বরাবরের মতো এবার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহমেদ রাশেদুন নবী আরো জানান, এবার ব্রী-৮৭, ৭৫, ৪৯ ও বিআর ২২, ২৩ জাতের ধান বেশী উৎপাদন হয়েছে।
তিনি বলেন, কৃষক পরিবারগুলো ফসল ঘরে তুলতে নানা কারণে বিলম্ব করছে। তাদেরকে বারবার তাগিদ দেয়ার পরও ফসল তুলছেনা। আবহাওয়া কখন যে খারাপ হবে, তা বলা মুশকিল।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি