বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন যে পুলিশ দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বোমাগুলো রেখেছিল।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব হয়েও আমাকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে দেয়া হয়নি। এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। আমাদের অফিসে বোমা সম্পর্কে পুলিশ অফিসার যা বলেছেন তা নির্লজ্জ মিথ্যা। তারা (পুলিশ) নিজেরাই বোমাগুলো নিয়ে গিয়েছিল এবং সেখানে রেখেছিল।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে বাধা দেয়া হয়।
সকালে ঢাকার একটি আদালতে হাজির হওয়ার পর ফখরুল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে বিজয়নগর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাকে বাধা দেয়।
পুলিশ কর্মকর্তারা বিএনপির সিনিয়র এই নেতাকে বলেন যে নিরাপত্তার কারণে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না, কারণ তারা সেখান থেকে বোমা উদ্ধার করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘পুলিশ মিথ্যা বলছে… এটা আমাদের অফিস, আমি ভেতরে যাব। সেখানে যাওয়া আমার অধিকার।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব সরকার ফখরুলকে বলেন যে বিএনপি নেতারা গতকাল ওই এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে মারে এবং বিএনপির অফিস নিরাপদ নয়, যা এখন একটি ‘ক্রাইম সিন’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।’ ফখরুল উত্তেজিত হয়ে পড়লে বিপ্লব অনুরোধ করেন, ‘অনুগ্রহ করে রাগ করবেন না এবং আমাদের সহযোগিতা করুন।’
জবাবে ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের মতো কথা বলবেন না।’
ফখরুল বলেন, বিএনপির কার্যালয় তাদের সম্পত্তি এবং তাদের ভেতরে যাওয়ার অধিকার রয়েছে।
তিনি সরকারের কাছে বিএনপির কার্যালয় খুলে দেয়ার ও গ্রেপ্তার সকল নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে পারে সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
১০ ডিসেম্বর তাদের জনসভা কোথায় হবে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম