November 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, December 29th, 2022, 7:43 pm

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, ব্যাহত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা

ফাইল ছবি

তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৪ শতাংশ। আগামীকাল তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

এদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও মৃদু হিমেল হাওয়ায় ঠাণ্ডার মাত্রা কমেনি মোটেও। ফলে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে এ এলাকার মানুষ। তীব্র শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ। এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। তীব্র শীতে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শীত থেকে বাঁচতে সরকারি বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা চেয়েছেন এসব সাধারণ মানুষ।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন জানান, তীব্র শীতে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে প্রচুর রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এছাড়া প্রতিদিন তিন থেকে ৪০০ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছে। শীতজনিত কারণে নিউমোনিয়া রোগী সংখ্যাও বাড়ছে।

রিকশাচালক মাসুম বলেন, পেটের দায়ে বাড়ি থেকে বের হলেও প্যাসেঞ্জার পাওয়া যাচ্ছে না। হালকা বাতাসে পুরো শরীর কাঁপছে। এ রকম আরও কয়েকদিন হলে সকালে কাজে বের হওয়া যাবে না।

ইউসুফ নামের এক দিনমজুর বলেন, আজ ভোরে কাজে যেতে পারিনি শুধু অতিরিক্ত শীতের কারণে। এভাবে ঠাণ্ডা পড়লে কাজে যাওয়া সম্ভব হবেনা। না খেয়ে দিন যাবে।

সাজু নামের একজন হোটেল কর্মচারি বলেন, প্রতিদিন সকালে নাশতার জন্য হোটেলে প্রচুর চাপ থাকে। এজন্য ফজরের আজানের পর থেকেই কাজ করতে হয়। ভোরে পানিতে হাত দিলে মনে হয় অবশ হয়ে যাচ্ছে। আঙুলগুলো নাড়ানো যাচ্ছে না। তারপরও পেটের দায়ে কাজ করছি।

—-ইউএনবি