জার্মানির স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মারিয়া। সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার ছেলে আব্রাহাম হাসান নাঈম পেশায় একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী। ইউরোপের দেশটি থেকে প্রেমের টানে সিলেটে ছুটে এসেছেন মারিয়া। বৃহস্পতিবার রাজকীয় ও বর্ণিল আয়োজনে হয়ে গেলো তাদের বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
বিয়েকে ঘিরে বিশ্বনাথ পৌরসভার শ্রীধরপুর গ্রামের আরিছ আলীর ছেলে আব্রাহামদের বাড়িতে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকেই চলছে আনন্দ-উৎসব ও ভুরিভোজ। জার্মান নাগরিক মারিয়াকে এক নজর দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
জানা যায়, বিশ্বনাথের এক ব্যক্তির মাধ্যমে মারিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় আব্রাহাম হাসান নাঈমের। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে উঠে ভালবাসার সম্পর্ক। উভয়ের পরিবার সিদ্ধান্ত নেন আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার।
প্রথমে মারিয়া আব্রাহামকে জার্মানিতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। তাতে রাজি হননি আব্রাহাম। একপর্যায়ে ২৩ ডিসেম্বর পছন্দের মানুষ আব্রাহামের কাছে বাংলাদেশে ছুটে আসেন মারিয়া। এরপর, মুসলিম রীতি অনুযায়ী দু’জন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
এদিকে, আব্রাহাম-মারিয়ার বিয়ে উপলক্ষ্যে পারিবারিকভাবে রাজকীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পুরো বাড়ি। আমন্ত্রণ জানানো হয় শ্রীধরপুর গ্রামসহ আশপাশ গ্রামের নারী-পুরুষ সবাইকে।
রাজকীয় এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত এলাকাবাসী। তাদের অনেকেই জানান, বিশ্বনাথে এ ধরনের রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠান খুব কমই দেখা যায়। সকল আয়োজনই ছিল ব্যতিক্রম।
আব্রাহামের চাচাতো ভাই আবদুল বাতিন জানান, ‘মারিয়া জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে গবেষণা করছেন। খুব শিগগিরই দেশটি থেকে মারিয়ার মা-বাবা বাংলাদেশে আসবেন।’
বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় খুবই খুশি আব্রাহাম -মারিয়া দম্পতি। এক প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেন, ‘সারা জীবন যেন আমরা একসঙ্গে থাকতে পারি, সে জন্যে সকলের দোয়া চাই।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি