ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে চুয়াডাঙ্গায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে পড়েছে। মানুষ জরুরি কোনো কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। আবার সন্ধ্যার আগেই সবাই ঘরে ফিরছেন।
এদিকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে চলেছে টানা শৈত্যপ্রবাহ। তবে কিছুটা কমেছে তাপমাত্রার পারদ।
শুক্রবার দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।
তীব্র শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ।
এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারনের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। রাস্তাসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করার চেষ্টা করছে।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে জেলার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৮ শতাংশ। এছাড়া শৈত্যপ্রবাহ শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, চুয়াডাঙ্গায় হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশেষ করে ছিন্নমূল ও অতিদরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ চরমে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজও সূর্যের দেখা মিললেও শৈত্যপ্রবাহের কারণে কমেনি শীতের দাপট। ফলে আবার জনজীবনে স্থবিরতা নেমে বেকায়দায় রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। শীতজনিত কারণে হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ১৩টি বেডের বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৫০ জন। অপরদিকে প্রতিদিন ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি হচ্ছে শতাধিক।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন জানান, তীব্র শীতে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে প্রচুর রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এছাড়া প্রতিদিন তিন থেকে চারশ’ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছে। শীতজনিত কারণে নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক