অনলাইন ডেস্ক :
‘সাফটা চুক্তি’, ‘হিন্দি সিনেমা আমদানি’ ফিল্মপাড়ায় এখন আলোচনার বিষয়গুলোর মধ্যে যোগ হয়েছে। মূলত ‘পাঠান’ সিনেমাটিকে ঘিরেই এত সব আলোচনা। ভারতে বইছে ‘পাঠান-ঝড়’। সে ঝড়ের আঁচ এসে পড়েছে বাংলাদেশেও। অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে ‘পাঠান’ সিনেমা আমদানির অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু নীতিমালায় জটিলতা থাকার কারণে সহসাই আসছে না সিনেমাটি। তবে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী। এর আগে তথ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যদি এফডিসি ঘরানার সংগঠনগুলোর আপত্তি না থাকে তাহলে বছরে দশটি হিন্দি সিনেমা আমদানি করতে সরকারের আপত্তি নেই। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে। বলিউড তামিলের সঙ্গে ফাইট করছে, টালিউড তামিল-হিন্দির সঙ্গে ফাইট করছে, আমাদের ছোটবাজারে হিন্দির সিনেমার আমদানি। বিষয়টি আমাদের জন্য কতটা সুখকর? প্রশ্ন ছিল গুণী এ অভিনেতার কাছে। উত্তরে ইলিয়াস কাঞ্চন সময় সংবাদকে বলেন, ‘এটা আসলে স্ট্যাডির ব্যাপার। স্ট্যাডি না করে বলা যাবে না। তবে আমরা একটা ভয় আছে। সেটা হলো- আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম নাই। ব্যক্তিস্বার্থ আমরা সবচেয়ে বেশি দেখি। আমার যদি সামান্য একটু স্বার্থ হয়, দেশের অন্য স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে দেই।’ শিল্পী সমিতির এ সভাপতি আরও বলেন, ‘চুক্তি করার সময় তারা বলেছে দেশীয় সিনেমাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। দুই ঈদে হিন্দি ছবি চালানো যাবে না, হিন্দি ছবির ডাবিং করা যাবে না। আমার জানা মতে, এ ধরনের চুক্তি সবগুলোই লঙ্ঘিত হয়েছে। কারণ দেশপ্রেম নাই।’ ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ‘হিন্দি ছবি চালালে বেশি টাকা পাব, বাংলা ছবি চালালে দুই টাকা কম পাব কিন্তু বাংলা সংস্কৃতি টিকে থাকবে, শিল্পীরা টিকে থাকবে এটা তাদের মাথায় নেই। আমার ভয়টা এখানেই। এই ভয় না থাকলে বলতাম, চুক্তি অনুযায়ী হিন্দি ছবি চালাতে অসুবিধা নাই। এটা কিন্তু সব সময়ের জন্য না। এখন ক্রান্তিকাল চলছে, হল বন্ধ হয়ে গেছে। হল খোলার জন্য, দর্শক বাড়ার জন্য হিন্দি ছবি চালোনা যেতে পারে। যদি দেখা যায়, সেসব ছবি দিয়ে হল খুলেছে, দর্শক বেড়েছে তাহলে তো ভালো।’
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ