অনলাইন ডেস্ক :
১২ মিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন বিশ্বের দ্রুততম মানব উসাইন বোল্ট। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের বিজনেস ম্যানেজারকে বরখাস্ত করেছেন তিনি। বরখাস্ত হওয়া ম্যানেজার এই জামাইকান গতি তারকার বিনিয়োগ সংক্রান্ত সব কিছু দেখাশোনা করতেন। এ বিষয়ে বিশ্বের দ্রুততম ব্যক্তি তার আইনজীবী লিন্টন গর্ডনের মাধ্যমে জানান, ‘হারিয়ে যাওয়া এ অর্থই ছিলো আমার ভবিষ্যৎ। সকলেই জানেন আমার তিন সন্তান রয়েছে। মা-বাবার দায়িত্ব রয়েছে। তা ছাড়া আমি ভালোভাবে বাঁচতে চাই।’ বিজনেস ম্যানেজারকে বরখাস্ত করার বিষয়ে গর্ডন বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রত্যাশিত ফলাফল। এই মুহূর্তে এর থেকে বেশি কিছু বলার নেই। যা হওয়ার ছিলো তাই হয়েছে।’ অবসর নেয়ার পর জামাইকান এই দৌড়বিদ তার সব সঞ্চয় একটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে রেখেছিলেন। সেই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলো শেয়ারবাজারের একটি সংস্থা। ওই সংস্থার প্রতারণার ফলে ১২ মিলিয়ন ডলার বা ৯৭ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন বোল্ট। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে সংস্থাটি প্রায় এক দশক ধরে প্রতারণা করে আসছিলো। এ প্রতারণার ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে জামাইকা সরকার। এ বিষয়ে দেশটির অর্থমন্ত্রী নাইজেল ক্লার্ক জানান, ‘আমরা প্রতারিত হওয়া প্রতিটি মানুষের সঙ্গে কথা বলছি। ডিরেক্টর অফ দ্য ফিনান্সিয়াল সার্ভিস কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ব্যাংক অফ জামাইকাও নজর রাখছে। এ ঘটনার পর আর্থিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন আরও কঠোর করার কথা ভাবা হচ্ছে।’ নিজের বিপুল পরিমাণ অর্থ হারিয়ে বিশ্বের দ্রুততম মানব বলেন, ‘এ ঘটনা খুবই দুঃখজনক। অত্যন্ত হতাশার। অনেক প্রবীণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন। সকলেই বিভ্রান্ত। আমার অবস্থাও বাকি সকলের মতো। একটা কঠিন সপ্তাহ যাচ্ছে আমার। হয়তো আরও বেশ কিছু কঠিন সপ্তাহ কাটাতে হবে। পরিস্থিতি যেমনই হোক, জামাইকা আমার দেশ। এটা কখনও পরিবর্তন হবে না। আপাতত আমি পরিবারের সকলকে সামলে রাখছি। অতিরিক্ত চিন্তা না করার চেষ্টা করছি।’ এদিকে আর্থিক প্রতারণার ঘটনা তদন্তে এফবিআইয়ের কাছে সাহায্য চেয়েছে জামাইকা সরকার। প্রতারণার মোট পরিমাণ এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা