November 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, February 8th, 2023, 10:01 pm

সঞ্চয়পত্রে বাড়ছে না নতুন বিনিয়োগ

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সঞ্চয়পত্রে নতুন বিনিয়োগ বাড়ছে না। বরং নানা কারণে কমেছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি। মেয়াদ পূর্তির পর ফলে আগের কেনা সঞ্চয়পত্র যে হারে ভাঙানো হচ্ছে, ওই হারে নতুন বিনিয়োগ বাড়ছে না। ফলে ৬ মাসে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ না বেড়ে কমেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) যতো টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে, তা দিয়ে গ্রাহকদের আগে বিনিয়োগ করা সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। উলটো ৩ হাজার ১০৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ধস নেমেছে। কারণ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগসীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। তাই মেয়াদ শেষে অনেকেই আর নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারছে না। এ ছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষ খুব বেশি মুনাফা পাচ্ছে না। গত ডিসেম্বর মাসে মোট ৫ হাজার ৫৪২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। আর মুনাফা ও আসল পরিশোধ করা হয়েছে ৭ হাজার ৩৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। ফলে নিট বিক্রির পরিমাণ গিয়ে ১ হাজার ৪৯০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ঋণাত্মক দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ৪০ হাজার ৪৭১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। তার বিপরীতে মুনাফা ও মূল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৪৩ হাজার ৫৭৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ৬ মাসে যা বিনিয়োগ হয়েছে, সরকার তার চেয়ে ৩ হাজার ১০৭ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধের পর যা অবশিষ্ট থাকে তাকে বলা হয় নিট বিক্রি। ওই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা থাকে। সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রিকে সরকারের ঋণ বা ধার হিসেবে গণ্য করা হয়।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ থাকলে রিটার্নের সনদ দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তার আগে সরকার গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব রকম সঞ্চয়পত্রের সুদহার ২ শতাংশের মতো কমিয়ে দেয়। তাছাড়া ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগসীমা কমিয়ে আনা হয়। আর ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে মুনাফার ওপর উৎস করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। ওসব কড়াকড়ির প্রভাবে বর্তমানে সঞ্চয়পত্র বিক্রি অনেক কমে গেছে। বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক ৫২, পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক ৭৬, পাঁচ বছর মেয়াদি মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ১১ দশমিক ২৮, তিন বছর মেয়াদি ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। কয়েক দফায় সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানো হলেও এখনো তা ব্যাংকের তুলনায় বেশি। আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে সরকার।