এপি, ফিলিপাইন :
ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় প্রদেশ একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প কেঁপে ওঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতের ভূমিকম্পে লোকজন তাদের বাড়িঘর থেকে বের হয়ে আসে।
একইভাবে বেশ কিছু রোগীকে কলিজিয়াম সরকারি হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কলিজিয়াম সরকারি হাসপাতাল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
উপকূলীয় শহর বাতুয়ান থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার (ছয় দশমিক আট মাইল) পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার (ছয় মাইল) গভীরতায় একটি স্থানীয় ফল্ট লাইনে ছয় মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
মাসবাত প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এতে হতাহতের বা বড় ক্ষয়ক্ষতির কোনো তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি।
মাসবেত প্রাদেশিক দুর্যোগ-প্রশমন কর্মকর্তা অ্যাডোনিস ডিলাও বলেন, মধ্যরাতের প্রায় দুই ঘণ্টা পর ভূমিকম্পটি আঘাত হানে, যার ফলে অনেক মানুষ ঘুম থেকে জেগে ওঠে।
প্রাদেশিক রাজধানী মাসবেট শহরের রেড ক্রস কর্মকর্তা এমজে অক্সেমার টেলিফোনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, ‘প্রথম ঝাঁকুনিটি সত্যিই শক্তিশালী ছিল এবং তারপর কেঁপে উঠেছিল যা আমাকে এবং আমার শিশুকে জাগিয়েছিল।’ ‘আমরা মাটির গর্জন শুনতে পাচ্ছিলাম।’
ডিলাও জানিয়েছ, মাসবেটের একটি প্রাদেশিক হাসপাতাল থেকে কয়েক ডজন রোগীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে ভূমিকম্পের কারণে তিনতলা ভবনে কিছু ফাটল দেখা দেয়ার পরও ফিরিয়ে আনা হয়। মাসবেট শহরের একটি ছোট সরকারি কলিজিয়ামের ছাদের একটি অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দিলাও টেলিফোনে এপিকে জানান, মাসবেট শহরের কেন্দ্রস্থলে মুদি এবং ওষুধের দোকানসহ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কংক্রিটের স্তম্ভে এবং কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা গেছে।
ডিলাও বলেছিলেন যে দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কখন খুলতে হবে সে সম্পর্কে যদিও মালিকদের বিচক্ষণতা আছে। তবুও তাদের সরকারি সুরক্ষা পরিদর্শকদের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। কারণ ভূমিকম্পের পরে কমপক্ষে দুটি শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়েছিল।
তিনি বলেন, টাইফুনের বিপরীতে, যা মানুষকে সময় দেয়ার জন্য ভবিষ্যদ্বাণী করা যেতে পারে, ভূমিকম্প হঠাৎ করে আঘাত হানতে পারে।
সিভিল ডিফেন্স কার্যালয় বলছে, ভূমিকম্পটি মাসবেট এবং নিকটবর্তী টিকাও দ্বীপের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং কিছু স্কুলের ক্লাস স্থগিত করা হয়। স্থানীয় কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখছে।
ফিলিপাইন প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ বরাবর অবস্থিত। প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে ত্রুটির একটি চাপ থাকায় বিশ্বের বেশিরভাগ ভূমিকম্প এই অঞ্চলে হয়। এটির কারণে প্রতি বছর প্রায় ২০টি টাইফুন এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় আঘাত হানে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগ-প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে একটি।
উত্তর ফিলিপাইনে ১৯৯০ সালে সাত দশমিক সাত মাত্রার একটি ভূমিকম্পে প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা গেছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু