অনলাইন ডেস্ক :
টাইগার দলের সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। দলের হয়ে অনেক ম্যাচ জয়ে অবদান রাখলেও হুট করেই যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেইভাবে উইকেটে হাসছিল না তার ব্যাট। এমন অফ-ফর্মের জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বরে অবসর নিয়ে নেয় ক্ষুদ্র ফরম্যাট থেকে। তবে আবার ব্যাট হাতে জ¦লে উঠেছে মুশফিকুর রহিম। নতুন পজিশনে ব্যাট করতে নেমেই তুলছেন ঝড়। বিশেষ করে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডে ম্যাচে তো মুশফিক যেন ওয়ানডে ফরম্যাটেই খেলেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে। আর নতুন এ পজিশনে ব্যাট করে নাকি বেশ উপভোগই করছেন এ অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। গত বৃহস্পতিবারআয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে খেলতে নামার আগে ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে কথা বলেন মুশফিকুর রহিম। এ সময় নতুন পজিশন ক্যামন উপভোগ করছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ছয় নম্বরে ব্যাটিং করাটা আমার জন্য ভালো সুযোগ ছিল। আমার যদি মনে থাকে তাহলে আগেও আমি এটা করেছি। তারপরও আমার মনে হয় শুরুর দিকে উইকেট খানিকটা ভেজা ছিল। কিন্তু আমাদের ওপেনার, তিন কিংবা চারে যারা খেলেছে তারা দারুণ ব্যাটিং করেছে। এমন উইকেটে ব্যাটিং করাটা আমি উপভোগ করেছি। কারণ ব্যাটিং করার জন্য বেশ ভালো উইকেট ছিল। আমি শুধু আমার দক্ষতা কাজে লাগিয়েছি।’ গত বৃহস্পতিবারে অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচের আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ওয়ানডেতে ঝোড়ো ব্যাটিং করেন মুশফিক। প্রথম ওয়ানডেতে ১৬৯.২৩ স্ট্রাইক রেটে ২৬ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। এ ছাড়া দ্বিতীয় ম্যাচে তো ব্যাট হাতে গড়ে ফেলেন নতুন এক রেকর্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিক ৬০ বলে করেন ১০০ রান। আর এ সেঞ্চুরি হাঁকানোর মাধ্যমে বনে যান টাইগারদের ওয়ানডে ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান। এই দুই ম্যাচেই তাকে ছয়ে ব্যাটিং করতে দেখা গেছে। যদিও তাকে বেশির ভাগ সময় আরো আগেই উইকেটে নামতে দেখা যেত। এদিকে দলে এখন বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে। তারা বেশ ভালো করছেন। এর মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয় অন্যতম। এই সিরিজেই ওয়ানডে অভিষেকে ৯২ রানের ইনিংস খেলেন হৃদয়। তার সঙ্গে ব্যাটিংয়ে ছিলেন মুশফিক। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার জানান, তরুণরা আত্মবিশ্বাস বাড়ায় তাদেরও। মুশফিক বলেন, ‘সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে অবশ্যই এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস জোগায়। কারণ যখন হৃদয়, শান্তর মতো তরুণরা রান করে তখন প্রথম বলে গিয়েই মারার সুযোগ করে দেয়। এটা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। আমাদের আসলে কোনো চাপ নেই। আমরা শুধু যাই আর নিজেদের প্রকাশ করি। আপনি যখন ঐরকম স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করবেন এবং অপরপ্রান্তে একজন তরুণ থাকবে তখন সেটা উপভোগ্য। আশা করি আমি এটা বয়ে নিতে পারব।’ অন্যদিকে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে তুলনামূলক চট্টগ্রাম কিংবা মিরপুরের থেকে বেশি রান হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে মুশফিক বলেন, ‘এটা আসলে পুরোটা কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করে। আমরা সবশেষ দুই-তিন সিরিজে এমন স্পোর্টিং কন্ডিশনে খেলিনি। সেখানে স্পিনার ও পেসারদের জন্য সুবিধা ছিল। আমার মনে হয় এবারই প্রথম ব্যাটিং করার উইকেট এত ভালো ছিল। আমরা নিজেদের এক্সপ্রেস করতে চাই। দেখা যাক ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে কতদূর যেতে পারি।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা