ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা মায়ের মৃত্যুর সময় অলৌকিকভাবে জন্ম নেওয়া শিশু ফাতেমা ও তার পরিবারের ভরণ-পোষণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে থাকা ১৩ লাখ ১১ হাজার টাকা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিশু ও শিশুর পরিবারকে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। এ টাকা দিয়েও সঞ্চয়পত্র কিনে দিতে বলেছেন আদালত। সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশ দিয়ে শিশু ফাতেমা, তার দুই ভাই-বোন ও দাদীর সংসারের ব্যয় নির্বাহ করা হবে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষে ছিলেন রাফিউল ইসলাম ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
রিটকারী আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন বলেন, অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া শিশুর জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া ১৩ লাখ ১১ হাজার টাকা ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসকের কাছে রয়েছে। এ টাকা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনে শিশু ফাতেমা, তার ভাই ইবাদত হোসেন ও বোন জান্নাতের কল্যাণে ব্যয় করতে বলেছেন আদালত। এছাড়া, ট্রাস্টি বোর্ডকেও দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী রাফিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আদালত আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে রিটকারী আইনজীবীকে ট্রাস্টি বোর্ডে একটি আবেদন করতে বলেছেন। আবেদন পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ডকে নিহত রত্না বেগমের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ জুলাই ত্রিশালের কোর্ট ভবন এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাক-চাপায় প্রাণ হারান অন্তঃসত্ত্বা রত্না বেগম (৩২), তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) এবং তাদের ছয় বছরের মেয়ে সানজিদা। এ সময় অলৌকিকভাবে মায়ের গর্ভ ফেটে ভূমিষ্ঠ হয় ফুটফুটে এক নবজাতক। পরে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে নেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
সেখানে নেওয়ার পর জানা যায়, জীবিত আছে নবজাতকটি। পরবর্তীতে যার নাম রাখা হয় ফাতেমা।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ