অনলাইন ডেস্ক :
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিটি ক্লাবকে সহজেই হারালো গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। সিটি ক্লাবের দেওয়া ২১৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে ১৮ বল আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। দলটির চতুর্থ জয়ের নায়ক সুমন খান। গাজী গ্রুপের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি সিটি ক্লাব। ছোট লক্ষ্যে নেমে অবশ্য ৩৭ রানে ওপেনার হাবিবুর রহমান (২১) সাজঘরে ফেরেন। দ্বিতীয় উইকেটে মেহেদী মারুফ ও ফরহাদ হোসেন মিলে তুলে ফেলেন ৮৩ রান। ৬৫ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ফরহাদ আউট হলেও হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান মারুফ। যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক আকবর আলীকে সঙ্গে নিয়ে আরও ৬৬ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে আউট হন মারুফ। ১১৯ বলে ৭ চারে গাজীর এই ওপেনার নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। জয় থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে আকবর ৫৪ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। বাকি পথটুকু অনায়াসেই পাড়ি দেন রবি তেজা (১৮*)। ৪৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে গাজী গ্রুপ লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে। সিটি ক্লাবের বোলারদের মধ্যে ইরফান হোসেন সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন। এ ছাড়া রবিউল হক, আসিফ হাসান ও মঈনুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট। এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সুমনের গতির কাছে পরাস্ত হয় সিটি ক্লাব। এই পেসারের আগুন বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২১৪ রান তোলে ১০ উইকেট হারিয়ে। সিটি ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন আসিফ আহমেদ রাতুল। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৭ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে সুমনের শিকার হন মিডল অর্ডার এই ব্যাটার। এ ছাড়া সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার আব্দুল্লাহ আল মামুন ৭৪ বলে খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে সুমন একাই চারটি উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়া এনামুল হক ও টিপু সুলতান নেন দুটি করে উইকেট। পেসার কাজী অনিক ইসলাম নেন একটি উইকেট।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা