অনলাইন ডেস্ক :
পালিত ছাগল ও কুকুরের ওপর আক্রমণ করেছিল বেশ কয়েকটি সিংহ। এতে শক্তিধর পশুর ওপর ক্ষেপে যান রাখালরা। হত্যা করেন ছয়-ছয়টি সিংহ। ঘটনাটি ঘটেছে কেনিয়ার ন্যাশনাল পার্কে। এতে করে দেশটির পর্যটন খাত একটি বিরাট ধাক্কা খেল, কারণ দেশটির অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ পর্যটন খাত। রোববার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
কেনিয়া ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস (কেডব্লিউএস) জানিয়েছে, রাখালদের হাতেই সিংহগুলোর মৃত্যু হয়েছে। তাদের হত্যা করার আগের দিন রাখালদের পালিত ১১ ছাগল ও কুকুরের ওপর আক্রমণ চালিয়ে হত্যা করেছিল বেশ কয়েকটি সিংহ।মানুষ ও বন্য প্রাণীর মধ্যে সংঘর্ষের এটি সর্বশেষ ঘটনা বলে গত শুক্রবার রাতে জানিয়েছিল কেনিয়ার বন্যপ্রাণী কর্মকর্তারা। এক বিবৃবিতে কেডব্লিউএস বলেছে, দুর্ভাগ্যবশত সর্বশেষ ঘটনাটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
কারণ, গত সপ্তাহে আরও চারটি সিংহ হত্যার শিকার হয়েছে। আল-জাজিরা বলছে, কেনিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আমবোসেলি ন্যাশনাল পার্কের নিকটেই সিংহগুলোকে হত্যা করা হয়। এতে বিশ্বের সবচেয়ে বন্য বয়স্ক সিংহ মারা গেছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। রাখালদের বর্শার আঘাতেই সিংহগুলোকে মারা গেছে। গত এক সপ্তাহে ওই অঞ্চলে ১০টি সিংহকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়ে বিবৃতিতে কেডব্লিউএস বলছে, এ ঘটনায় স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কর্তৃপক্ষ।
কীভাবে বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে মানুষের সংঘর্ষ কমানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে। এমনকি, বন্যপ্রাণী খুব নিকটে আসার আগেই মানুষ যেন সতর্কবার্তা পায় তা নিয়ে একটি সিস্টেম চালু করা হবে। কেনিয়ার ন্যাশনাল পার্কের আশপাশে থাকা বাসিন্দারা প্রায়শ বন্যপ্রাণী নিয়ে অভিযোগ দিয়ে আসছে। তাদের অভিযোগ, সিংহসহ অন্যান্য মাংসাশী বন্যপ্রাণী গৃহপালিত প্রাণীকে আক্রমণ হত্যা করে। ৩৯ হাজার ২০৬ হেক্টর বিস্তৃত আমবোসেলি ন্যাশনাল পার্কে হাতি, চিতা, মহিষ, জিরাফসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীর অন্যতম আবাসস্থল। এদিকে, গত শুক্রবার রাখালদের হাতে পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক বন্য সিংহ লুনকিটো মারা গেছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা। খাবারের সন্ধানে পার্ক থেকে বেরিয়ে হত্যার শিকার হয় পুরুষ সিংহটি। ২০২১ সালে কেডব্লিউএস লুনকিটোকে যোদ্ধা বলে অভিহিত করেছিল এবং বলেছিল, এক দশক ধরে পার্কের নিজের অঞ্চলে আধিপত্য ধরে রেখেছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু