নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত সপ্তাহে যে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা কেজি, এখন বিক্রি হচ্ছে ২০৭ থেকে ২১৫ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, মুরগির দাম প্রতিদিনই ওঠা-নামা করে। শুক্রবার (৯ জুন) মিরপুর ১ নম্বরের কাঁচাবাজার সরেজমিনে ঘুরে জানা যায় ব্রয়লার মুরগির এই বাড়তি দাম। এছাড়া বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা ও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। সবজির দাম সামান্য বেড়েছে, একই সাথে কমেছেও। কম আর বাড়তি এই মূল্যকে অপরিবর্তিতই বলা চলে। কাঁচাবাজারে মাছের দামও রয়েছে প্রায় গত সপ্তাহের মতোই। তবে বাড়তি রয়েছে চিংড়ি মাছের দাম। চিংড়ি মাছের বিক্রেতারা জানান, এখন সব জায়গায় পানি বাড়ছে বলে চিংড়ি মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এর দাম এখন বেশি।
আগামী দুই-তিন মাস এই দাম বাড়ন্ত থাকবে বলেই জানান তারা। ইলিশ মাছ ১২০০-১৬০০, রুই মাছ ৪০০-৬০০, কাতল মাছ ৫০০-৬০০, কালিবাউশ মাছ ৫০০, চিংড়ি মাছ ১০০০, কাঁচকি মাছ ৫০০, টেংরা মাছ ৬৫০, পাবদা মাছ ৪৫০ টাকা, শিং মাছ ৪০০, কৈ মাছ ৩০০ টাকা কেজি। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি ২০৭-২১৫, কক মুরগি ২৩০-২৫০, দেশি মুরগি ৬৫০, গরুর মাংস ৭৭০-৭৯০ টাকা কেজি।মুরগি বিক্রেতা তুহিন বলেন, কাঁচাবাজারে সব কিছুর দামই ওঠা-নামা করে। মুরগির দামও প্রতিদিন বাড়ে কমে। তবে আজকে রেটটা একটু বেশিই। কেন বেশি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দোকানে চাকরি করি। কেন মুরগির দাম বেশি তা আমার জানা নাই।
চাকরিজীবী স্বপন এসেছিলেন সাপ্তাহিক বাজার করতে। মুরগির দাম নিয়ে তিনি বলেন, মুরগির দাম যে কিসের ভিত্তিতে বাড়ে-কমে সেটা আসলেই আমার বুঝতে সমস্যা হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০/৩০ টাকা বেড়ে যায়। এছাড়া মুদি দোকান ঘুরে জানা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম-দর। চিনি, সয়াবিন তেল, ডালের দাম রয়েছে আগের মতোই। মসুর ডাল ১৩০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, বুটের ডাল ৯৫ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, চিনি ১৩০ টাকা, আটা ১৩০ টাকা (২ কেজির প্যাকেটে), খোলা ময়দা ৬৩ টাকা, সয়াবিন তেল (প্যাকেট) ১৯৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭৮ টাকা এবং খোলা সরিষার তেল ২৫০ টাকা লিটার। কাঁচাবাজারে সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় অপরিবর্তিত। কিছু সবজি সামান্য কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বেগুন ৭০-৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, করল্লা ৮০-১০০ টাকা, পেঁপে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, গাজর ১৩০-১৪০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৮০-৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৮০ টাকা, ধুন্দল ৭০-৯০ টাকা, সজনে ১৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা, ধনেপাতা ১০০ টাকা কেজি। লাউ ৭০-৮০ টাকা পিস। এছাড়া বাজারে আলু ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৭০-৭৫ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি আদা ৩০০ টাকা, চায়না আদা ৩৬০ টাকা ও রসুন ১৬০-১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রেতা আল আমিন বলেন, আমাদের বাজারে এখনও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ভালোভাবে আসে নাই। আসলে দেশি পেঁয়াজের দাম হয়তো আরও কমবে। ছুটির দিনে বাজার করতে এসেছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী মাজাহার। তিনি বলেন, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ এখানে এখনও তেমন দেখছি না। তাই দেশি পেঁয়াজই নিতে হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের দামও কমে আসছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম