সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে চার বিভাগের ১০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৮তম সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুন) শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপাচার্য জানান, ক্লাসে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে (সহপাঠীকে মারধর) বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. গুলশান আহমেদকে ২ বছরের (চার সেমিস্টার) জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কার আদেশ বহাল থাকা অবস্থায় হলে ও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন না তিনি।
পাশাপাশি বাংলা বিভাগের একই বর্ষের সালমা আক্তার বিথী নামের আরেক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অসদুপায় (লুজ পেপারে আগে লিখে নিয়ে এসে পরীক্ষায় জমা দেওয়া) অবলম্বনের জন্য ২ বছরের (চার সেমিস্টার) জন্য স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের (স্নাতকোত্তর) ৫ জন, ২০২০-২১ সেশনের (প্রথম বর্ষ) ১ জন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ১ জন, রসায়ন বিভাগের ১ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের জন্য একটা করে কোর্স বাতিল করা হয়েছে।
পরবর্তী সেমিস্টারে তারা এ কোর্স রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে।
শাবিপ্রবি থেকে প্রথমবার উচ্চতর ডিগ্রি প্রদানের সিদ্ধান্তের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমবারের মতো ২০ জন শিক্ষার্থীকে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রির প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
এতে ৬ জন শিক্ষার্থী পিএইচডি, ৯ জন শিক্ষার্থী এমফিল এবং ৫ জন শিক্ষার্থীকে এমএসএসি ইঞ্জনিয়ারিং ডিগ্রি প্রধান করা হবে।
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ তরান্বিত করতে নতুন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশকে তরান্বিত করতে শিক্ষকদের জন্য নতুন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এতে শিক্ষকদেরকে যথাসময়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে জমা দিতে দেরি করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে ২০ টাকা করে ‘বিলম্ব ফি’ ও একাডেমিক কাউন্সিলে তাদের নাম শোকজের সুপারিশ করা হবে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
এইচএসসির ফল প্রকাশ শিগগিরই: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের জন্য সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে: বেরোবি উপাচার্য
তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা