September 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, July 4th, 2023, 3:24 pm

সংখ্যালঘু নারীকে গণধর্ষণের পর ভিডিও ভাইরালের হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়

জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার:

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে সংখ্যালঘু এক নারী (৩৪) কে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় ঘটনার স্থিরচিত্র ভিডিও ধারণ করে ওই নারীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নগদ অর্থও হাতিয়ে নিয়েছে ধর্ষকরা।
এমন কান্ডটি ঘটিয়েছেন হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বক্সের ছোট ভাই ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ ছালিক বক্স (৪০), মানগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে হাসানুল বারী সানী (২৬) ও শরীফপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুর রহমান (৩২)। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে গত ৩ জুলাই চেয়ারম্যানের ভাই ছালিক বক্সকে প্রধান আসামী করে ৩ জনের বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ জুন ঈদের দিন মৌলভীবাজার শহরের এক নারী কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া বাজারে এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যান। বাসায় ওই নারীকে রেখে ব্যবসায়ী আত্মীয় বাজারে তাঁর দোকানে যান। রাতে ওই নারী বাসায় একা থাকার সুবাধে চেয়ারম্যানের ভাই ছালিক বক্স তাঁর সহযোগী হাসানুল বারী সানীকে নিয়ে দরজা ভেঙে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। ওই সময় ছালিক বক্স ও হাসানুল বারী সানী ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এ কাজে তাদের সহায়তা করেন তাদের সহযোগী শরীফপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাইফুর রহমান। এসময় আসামীরা ওই নারীর বিবস্ত্র ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে না দেওয়ার শর্তে ২ লাখ উৎকোচ দাবি করেন তারা। পরে ভিকটিমের আত্মীয়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে আসামীরা। পরে ওই ভিকটিম গত সোমবার এ ঘটনায় বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গণধর্ষণ ও সহায়তাসহ নগ্ন স্থিরচিত্রসহ ও ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ভয়ভীতির মাধ্যমে অর্থ আদায় করার অপরাধের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রতন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশের কয়েকটি টিম।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুছ ছালেক বলেন, এ ঘটনায় বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ওই ভিকটিম। পরে ওই নারীকে সোমবার বিকেলে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।