অনলাইন ডেস্ক :
গত বছরের সেপ্টেম্বরের কথা ভুলে যাওয়ার কথা নয় নেপালের। নারীদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের কাছে ফাইনালে হেরে তারা শিরোপা বঞ্চিত হয়েছে। প্রায় ১০ মাস পর আবারও ফিফা প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে তারা। এবার ঢাকার দুটি ম্যাচে শক্তি দেখিয়ে নিজেদের মাঠে পাওয়া হারের জ্বালা ভুলতে চায় অতিথিরা। ছুড়ে দিচ্ছে চ্যালেঞ্জ। প্রীতি ম্যাচ দুটি হবে ১৩ ও ১৬ জুলাই। তার জন্য এক দিন আগেই ঢাকায় এসেছে নেপাল। বিকাল সাড়ে ৫টায় দুটি ম্যাচই হবে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। মূলত এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতির জন্য অতিথি দলটির ঢাকায় আগমন। তাছাড়া খেলার মাধ্যমে নিজেদের শক্তি-সামর্থ্য দেখানোর আলাদা একটা তাড়নাও কাজ করছে। দলটির কোচ অনন্ত থাপা বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শুরুতে ম্যাচ খেলতে পেরে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।
ঢাকায় খেললে দলের যে উন্নতি হবে সেটাই জোর দিয়ে বলেছেন তিনি, ‘এই দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে পেরে আমরা খুশি। কেননা আমরাও এশিয়ান গেমসের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিশ্বাস করি, এই দুটি প্রীতি ম্যাচ আমাদের জন্য ফলদায়ক হবে এবং সাফ অঞ্চলের মধ্যে এ ধরণের ম্যাচও খেলা উচিত। তাতে আমাদের মেয়েদের দলের মান উন্নত হবে।’ র্যাঙ্কিংয়ে নেপালের দলটি বেশ এগিয়ে। ১০১- এ অবস্থান তাদের। আর বাংলাদেশ রয়েছে ১৪০তম স্থানে। এগিয়ে থেকেও নেপাল কোচ সমীহ করছেন স্বাগতিকদের, ‘অবশ্যই বাংলাদেশ খুবই ভালো দল এবং গত কয়েক বছরে তারা মেয়েদের ফুটবলে ভীষণ ভালো করেছে।
বলা যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। তবে আমরাও যে ভালো দল, সেটা দেখানোর মিশন এই প্রীতি।’ সাফের ফাইনালের নেপাল তাদের সেরা অস্ত্র সাবিত্রা ভা-ারিকে পায়নি। এবার তিনি ঢাকা সফরে এসেছেন। তাতে আগের চেয়ে বর্তমান দল যে আরও ভারসাম্যপূর্ণ, সেটা বেশ আত্মবিশ্বাসী সুরে উচ্চারণ করলেন অনন্ত থাপা, ‘সাফের ফাইনালে মূল স্ট্রাইকার সাবিত্রা ভা-ারিকে ডেঙ্গুর কারণে পাইনি। এবার সে ফিরেছে। প্রীতি রায়ের চোট ছিল, সেও ফিরেছে। এখন আমাদের দলের মান তখনকার চেয়ে এখন অনেক ভালো। তাছাড়া দলের স্পিরিটও বেশ উন্নত। আমরা অবশ্যই জয়ের চেষ্টা করবো এবং যে পরিকল্পনা, সেটা মাঠে প্রয়োগের চেষ্টা করবো।’ সাফের পর নেপাল চারটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে।
সেই জায়গায় বাংলাদেশের মেয়েরা অলস সময় কাটিয়েছে। ম্যাচের মধ্যে থাকায় নিজেদের জন্য সেটা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন থাপা, ‘এটা আমাদের জন্য একটু প্লাস পয়েন্ট। সাফের পর ভারতের সঙ্গে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছি। নিজেদের মান উন্নত করার জন্য দারুণ ম্যাচ ছিল সেগুলো। পরে ভিয়েতনামের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছি, সেটাও আমাদের শেখার জন্য দারুণ প্ল্যাটফর্ম ছিল।’ তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য নেপালের। দলের অধিনায়ক আঞ্জিলা সুবা কোচের মতোই বলেছেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। অভিজ্ঞ, নতুন মিলিয়ে ভালো একটা দল আছে এবং আক্রমণভাগে খুবই ভালো স্ট্রাইকার সাবিত্রা ভা-ারি আছে। ফল যেটাই হোক, সেটা মুখ্য নয়। শেখার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। এই দুই ম্যাচে আমরা নিজেদের সেরাটা দেবো।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা