November 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, August 30th, 2021, 9:24 pm

শরীয়তপুরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১১ ইউপি সদস্যের দুদকে অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি:

শরীয়তপুর সদর উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান ঢালীর বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে জেলা প্রশাসক ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগপত্র দিয়েছেন ১১ ইউপি সদস্য। ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান এ অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহজাহান ঢালী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে এডিবি, ভূমি হস্তান্তর কর, টিআর, কাবিখা, মৌলিক থোক বরাদ্দ, এলজিএসপি-৩সহ সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। তিনি নীতিমালা না মেনে ইউনিয়নের ১১ সদস্যকে উপেক্ষা করে এককভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। অনেক প্রকল্পে ইউপি সদস্যদের সভাপতি বানিয়ে নিম্নমানের কাজ করে আত্মসাৎ করেছেন সরকারি অর্থ। এসব বিষয়ে গত ২৩ আগস্ট চেয়ারম্যান শাহজাহানের বিরুদ্ধে ১১ ইউপি সদস্য স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ ডিসি ও দুদকের কাছে জমা দেওয়া হয়। ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, ইউনিয়নের মাহমুদপুর বাজার পাকা সড়ক থেকে মামুন সরদারের বাড়ি পর্যন্ত কাবিখার আওতায় রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক লাখ পাঁচ হাজার ৯৯৮ টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু সেই কাজটি সম্পন্ন না করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান। এ ছাড়া পশ্চিম মাহমুদপুর নুরুল আমিন ঢালীর বাড়ির সামনের মসজিদের বারান্দা নির্মাণের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে টিআর প্রকল্পের ৭৪ হাজার ৫০৩ টাকা বরাদ্দ আসে। সেই কাজটিও চেয়ারম্যান করেননি। তবে সেখানে সাইনবোর্ডে দেখা যায় জেলা পরিষদের টাকায় বারান্দা নির্মাণ করা হয়েছে। ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় একটি রাস্তায় পাকা ঢালাই দেওয়ার জন্য তিন লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে আমাকে সভাপতি বানালেও স্বাক্ষর জাল করে নিজের তদারকিতে নিম্নমানের কাজ করে টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান শাহজাহান। এ ছাড়া অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ না করেই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সরকারি প্রতিটি প্রকল্প তিনি এককভাবে পরিচালনা করছেন। ৭নং ওয়ার্ড সদস্য খলিল কাজিবলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় খালের ওপর একটি স্টিলের সেতু নির্মাণের জন্য দুই লাখ ১৮ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে আমাকে সভাপতি বানালেও স্বাক্ষর জাল করে নিজের তদারকিতে নিম্নমানের কাজ করে টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান। এ ছাড়া অসংখ্য দুর্নীতি ও অনিয়ম থাকায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ঢালী বলেন, ইউপি সদস্যরা নিজেদের স্বার্থের জন্য আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন শুনেছি। তবে নিয়ম মেনেই সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনদীপ ঘরাই বলেন, মাহমুদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যরা অভিযোগ করেছেন বলে শুনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে তদন্ত করা হবে।