অনলাইন ডেস্ক :
মাস শেষ হতে আরও দিন তিনেক বাকি, বৈজ্ঞানিকরা এখনই জানিয়ে দিলেন, এটাই বিশ্বের উষ্ণতম জুলাই। সব রেকর্ড ভেঙে বিশ্বের উষ্ণতম জুলাই হতে চলেছে ২০২৩-এর জুলাই মাসই। এখনো মাস শেষ হয়নি। তার আগেই আবহাওয়া ও পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানিয়ে দিয়েছেন, উষ্ণতম জুলাই ছিল এবারই। ইইউ-র কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস এবং ওয়ার্ল্ড মেট অর্গানাইজেশন একথা জানিয়েছে। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল গুতেরেস বলেছেন, ‘এটা যে উষ্ণতম জুলাই তা জানার জন্য মাসের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না।
এখনই জুলাই মাস অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।’ গুতেরেস বলেছেন, ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা উষ্ণায়নের যুগ চলে গেছে, বিশ্ব এখন গ্লোবাল বয়েলিংয়ের যুগে প্রবেশ করেছে।’রিপোর্ট অনুসারে, জুলাইয়ের প্রথম ২৩ দিনের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের রেকর্ড ছিল ২০১৯ সালের জুলাই মাসের। সেবার গড় তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৬ জুলাই তো ছিল বিশ্বের উষ্ণতম দিন।
কী অবস্থা?
দ্য ক্লাইমেট সার্ভিসের দাবি, শিল্পায়নের আগে বিশ্বের যে গড় তাপমাত্রা ছিল, তার থেকে দেড় ডিগ্রিরও বেশি তাপমাত্রা বেড়েছে জুলাইয়ে। এটা রীতিমতো চিন্তার কথা। ওয়ার্ল্ড মেট অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেস তালাস বলেছেন, এই চরম আবহাওয়ার ফলে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ চরম কষ্টের মধ্যে পড়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তন ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জটা ভালো করেই বোঝা যাচ্ছে। তার মতে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিবেশকে বাঁচানোর কাজে আর দেরি করা চলবে না। এটা আবশ্যিক কাজ। এখনই তা করতে হবে।
কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের ডিরেক্টরের দাবি, ১৯৪০ সাল থেকে তারা আবহাওয়ার রেকর্ড রাখছেন। এবারের জুলাই তার মধ্যে উষ্ণতম জুলাই হতে চলেছে। তার মতে, বিশ্বে ১৮৮০ সাল থেকে রেকর্ড রাখার কাজ শুরু হয়। তার আগে থেকে বিজ্ঞানীরা আবহওয়ার প্যাটার্ন নিয়ে গবেষণা করছেন। পরিবেশ ও আবহাওয়া বিজ্ঞানীরাই বলছেন, এবারের গরম অস্বাভাবিক বেশি। সম্ভবত এক লাখ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে এবারই। জার্মানির লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও বলেছেন, এবছর জুলাই গরমের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে।
বাইডেনের ব্যবস্থা
আমেরিকার উত্তরপশ্চিমে এখন প্রবল তাপপ্রবাহ চলছে। সেখানকার কর্মীদের জন্য বাইডেন একগুচ্ছ পদক্ষেপের ঘোষণা করেছেন। বাইডেন জানিয়েছেন, যেসব জায়গায় গরম পড়ে, সেখানেও এবার ভয়ংকর গরম পড়েছে। অতীতে কখনো এতদিন ধরে এত গরমের মুখে মানুষকে পড়তে হয়নি। আমেরিকার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ তাপপ্রবাহের মধ্যে আছেন বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে গরম আবহাওয়া
ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, কানাডা, এশিয়াতে আবহাওয়ার অবস্থা ভয়ংকর বলে জানানো হয়েছে। কানাডা ও গ্রিসে ভয়াবহ দাবানল জ¦লছে। দাবানল এবার অন্য দেশেও ছড়াচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানে প্রবল বৃষ্টি ও তার ফলে ভয়ংকর বন্যা হয়েছে।
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ