October 7, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, August 1st, 2023, 5:38 pm

সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপন

জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :

সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে স্থাপন করা হয়েছে এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন। মহাসড়কে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যানবাহন চলাচল রোধ ও মহাসড়ক টেকসই করতে স্থাপন করা হয়েছে এই এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন। যার মাধ্যমে এই রোডে চলাচলকারী গাড়িগুলোকে নির্দিষ্ট পরিমাণের অধিক মালামাল পরিবহণ করা থেকে রোধ করতে সক্ষম হবে। এছাড়াও অন্যান্য গাড়িগুলো থেকেও নেওয়া হবে টোল।

সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের ভোলাগঞ্জ ধলাই সেতুর দক্ষিণে নির্মাণ করা হয়েছে এই এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন ও টোল পয়েন্ট। এক্সেলে শুধুমাত্র ট্রাক বা পণ্য পরিবহণকারী গাড়িগুলোকে তুলা হবে। যার জন্য আলাদা করে মহাসড়কের পাশে একটি লেনও তৈরি করা হয়েছে। সেই লেনেই বসানো হয়েছে এক্সেল। এ ছাড়া মহাসড়কে নিয়মিত গাড়ি চলাচলের রাস্তার এক পাশে একটি টোল পয়েন্ট করা হয়েছে। তবে এখনো যাত্রী পরিবহণকারী গাড়িগুলো থেকে টোল আদায়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

যানবাহনের অতিরিক্ত ওজনের (ওভারলোড) কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হচ্ছে সড়কের আয়ুষ্কাল। দেশের সড়কের এমন পরিণতি ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)।

দেশের ১৯টি জেলায় এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণ করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এই ১৯ জেলায় মোট ২৮টি এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এর মাঝে ১৮টি জাতীয় মহাসড়কে, পাঁচটি আঞ্চলিক মহাসড়কে ও বাকি পাঁচটি হবে জেলা মহাসড়কে। সেজন্য ব্যয় হচ্ছে ৪৯০ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, সওজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স সিলেটের এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণ করেছে। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় মোট ১৭টি এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণের জন্য ৩০১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছে।

সিলেট সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভোলাগঞ্জের এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আমরা এটা চালু করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। শীঘ্রই চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর টোল নেওয়ার অনুমতি সরকার দিলে সেটারও কার্যক্রম চালু করা হবে। এক্সেলের পরে যেই গাড়িগুলো লোড হবে সেগুলোর জন্য বাদাঘাট সড়কে আরেকটি এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণ করা হবে।

সব গাড়িগুলো যাতে মহাসড়কের কোনো না কোনো জায়গায় এক্সেলের আওতায় আসে সে অনুযায়ী নির্মাণ করা হচ্ছে এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন। বন্যার কারণে সব জায়গায় এক সাথে কাজ শুরু করা যায়নি। সে জন্য একটু আগ-পিছ হচ্ছে। সব জায়গায় এক্সেল লোড নির্মাণ হয়ে গেলে মহাসড়কের সকল গাড়ি এর আয়ত্তে আসবে।